মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের জগন্নাথ হলে অক্টোবর স্মৃতি ভবনস্থ টিভি কক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় শোকদিবসের আলোচনা সভায় তিনি এ আহ্বান জানান।
১৯৮৫ সালের ১৫ অক্টোবর রাতে জগন্নাথ হলে মর্মান্তিক দুর্ঘটনায় নিহতদের স্মরণে প্রতিবছর দিবসটি পালন করা হয়।
ঢাবি উপাচার্য বলেন, অসাম্প্রদায়িক চেতনা এবং নৈতিক ও মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সেদিন ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সব শ্রেণী-পেশার মানুষ হতাহতদের পাশে দাঁড়িয়েছিল এবং উদ্ধার কাজে অংশ নিয়েছিল। এ ধরনের দুর্ঘটনার পুনরাবৃত্তিরোধে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। আমাদের দায়িত্বের জায়গাটি জাগ্রত রাখতে হবে এবং নিজ নিজ অবস্থানে দায়িত্বের প্রতি সবসময় যত্নশীল থাকতে হবে। মানবিক মূল্যবোধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনা আমরা যেন হারিয়ে না ফেলি সেদিকে সবসময় খেয়াল রাখতে হবে। সচেতনতা ও সাবধানতা অবলম্বনের মাধ্যমে অনেক দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
আলোচনা সভায় উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ঢাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল, সংসদ সদস্য পংকজ দেবনাথ, জগন্নাথ হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মিহির লাল সাহা, প্রাক্তন প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. নিম চন্দ্র ভৌমিক, ঢাবি অ্যালামনাই অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব রঞ্জন কর্মকার, ডাকসুর ভিপি নুরুল হক নুর প্রমুখ।
দিবসটি পালন উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের সব হল, হোস্টেল ও প্রধান প্রধান ভবনে কালো পতাকা উত্তোলন, বিশ্ববিদ্যালয়ের পতাকা অর্ধনমিত রাখা ও কালো ব্যাজ ধারণ করা হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারিরা সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশ থেকে শোক র্যালি সহকারে জগন্নাথ হল স্মৃতিসৌধে যান এবং পুষ্পস্তবক অর্পণ ও নীরবতা পালন করেন। এছাড়া দিবসটি উপলক্ষে জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে হিন্দু, বৌদ্ধ ও খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের প্রার্থনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জগন্নাথ হল প্রাঙ্গণে দিনব্যাপী নিহতদের তৈলচিত্র ও তৎসম্পর্কিত দ্রব্যাদি প্রদর্শন এবং রক্তদান কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছে। বাদ আছর নিহতদের আত্মার শান্তির জন্য বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় মসজিদসহ সব হল মসজিদে মোনাজাত করা হবে। সন্ধ্যায় জগন্নাথ হল উপাসনালয়ে কবিতা আবৃত্তি, ভক্তিমূলক গান, ‘অক্টোবর স্মৃতি রচনা প্রতিযোগিতা’ ও ‘অক্টোবর স্মৃতি চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা’ আয়োজন করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০২ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এএটি