মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করে একথা জানান আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অন্যতম সায়েম।
গত ৬ অক্টোবর রাতে বুয়েটের শেরেবাংলা হলে ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর হাতে নির্দয় পিটুনির শিকার হয়ে মারা যান তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭ ব্যাচ) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের।
যদিও বুয়েট কর্তৃপক্ষ বেশ কিছু দাবিই বাস্তবায়নের আশ্বাস দিয়েছে। কিন্তু আন্দোলনে অনড় শিক্ষার্থীরা বলে আসছিলেন, দাবিগুলো বাস্তবায়নের আগ পর্যন্ত তারা আশ্বাসে ভরসা রাখতে পারছেন না।
তবে মঙ্গলবারের ব্রিফিংয়ে সায়েম বলেন, বুয়েট প্রশাসন চলমান তদন্ত প্রক্রিয়ায় দৃশ্যমান অগ্রগতি সাধনের মাধ্যমে সদিচ্ছা ইতোমধ্যে দেখিয়েছে। আমরা সেই সদিচ্ছার প্রতি পূর্ণ শ্রদ্ধা রেখে আগামীকাল (বুধবার, ১৬ অক্টোবর) আমাদের মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচিতে ইতি টানার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আগামীকাল বুয়েটের সাধারণ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মিলে গণশপথে অংশ নেবো। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের ক্যাম্পাসে সাম্প্রদায়িকতা ও সন্ত্রাস রুখে দেওয়ার জন্য প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হবো।
আবরার ফাহাদের খুনিদের স্থায়ী বহিষ্কারের দাবি জানিয়ে তিনি বলেন, সুস্পষ্টভাবে আমরা বলতে চাই মাঠ পর্যায়ের কর্মসূচির ইতি টানলেও সার্বক্ষণিকভাবে পর্যবেক্ষণ করতে থাকবো আমাদের দাবি-দাওয়াগুলো প্রশাসন বাস্তবায়ন করছে কি-না এবং ফাইনালি আইন প্রয়োগকারী সংস্থার চার্জশিট দাখিলের পর অপরাধীদের একাডেমিকভাবে স্থায়ী বহিষ্কারের আগ পর্যন্ত সাধারণ শিক্ষার্থীরা কোনো রকম একাডেমিক কার্যক্রম অংশ নেবে না। আমরা খুনিদের সঙ্গে একাডেমিক কালচার শেয়ার করতে রাজি নই।
আন্দোলন ভিন্নখাতে প্রবাহিত হতে পারে আশঙ্কা প্রকাশ করে সায়েম বলেন, বিগত কয়েক দিন ধরে আমরা অত্যন্ত উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি যে, ভাইয়ের লাশকে পর্দা হিসেবে ব্যবহার করে আড়ালে-অন্তরালে অনেক স্বার্থন্বেষী সংগঠন নিজেদের এজেন্ডা বাস্তবায়নের চেষ্টা করছেন। আমরা সুস্পষ্টভাবে বলতে চাই, এদের সঙ্গে আমাদের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই। এর পাশাপাশি আমরা দেশবাসীকে আহ্বান জানাই, এসব স্বার্থন্বেষী মহলের এজেন্ডা দেখে আপনারা বিভ্রান্ত হবেন না। রাজপথে আমাদের অবস্থানকে দীর্ঘায়িত করে এ আন্দোলনকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার সুযোগ আমরা দিতে চাই না।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৪ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০১৯
এসকেবি/এইচএ/