সোমবার (২৮ অক্টোবর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয় সংলগ্ন নগরীর আমজাদের মোড় এলাকায় অবস্থিত রাজু ছাত্রাবাস থেকে ওই শিক্ষার্থীর ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। তবে, কেন ওই শিক্ষার্থী আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে কিছু জানাতে পারেনি পুলিশ।
মৃত ফিরোজ (২১) বিশ্ববিদ্যালয়ের ফলিত গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ছিলেন। সে গাইবান্ধার সদর উপজেলার নারায়ণপুর গ্রামের মৃত সাজু মিয়ার ছেলে। ওই ছাত্রাবাসে একাই একটি কক্ষ নিয়ে থাকতেন ফিরোজ। ঘরের মেঝে থেকে আধা ফুটের মতো উচ্চতায় তার মরদেহটি ঝুলছিল।
পুলিশ জানায়, সোমবার সন্ধ্যার দিকে মেস মালিক ফিরোজের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পেয়ে পুলিশে খবর দেয়। পুলিশ ছাত্রাবাসে গিয়ে ফিরোজের কক্ষে ফ্যানের সঙ্গে ঝুলন্ত অবস্থায় তার মরদেহটি দেখতে পায়। পরে রাত ৮টার দিকে পুলিশ মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়।
ফিরোজের সহপাঠীরা জানায়, মঙ্গলবার (২৯ অক্টোবর) থেকে তাদের চূড়ান্ত পরীক্ষা শুরু হবে। সবাই পরীক্ষার প্রবেশপত্র সংগ্রহ করলেও ফিরোজ প্রবেশপত্র সংগ্রহ করেনি। তাকে প্রবেশপত্র সংগ্রহের কথা বললেও সে এ বছর পরীক্ষায় বসবে না বলে তাদের সহপাঠীদের জানিয়েছিল। সহপাঠীরা এর কারণ জানতে চাইলেও ফিরোজ কিছু জানায়নি। ফলাফলের দিক দিয়ে ক্লাসে ফিরোজের মেধাক্রম দ্বিতীয় ছিল।
নগরীর মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাফিজুর রহমান জানান, মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। তবে কী কারণে ফিরোজ আত্মহত্যা করেছে সে বিষয়ে এখনও পরিষ্কার হওয়া যায়নি। এ বিষয়ে থানায় অপমৃত্যুর মামলা করা হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২২৩২ ঘণ্টা, অক্টোবর ২৮, ২০১৯
এইচএডি/