এছাড়া আন্দোলনকারী এক ছাত্রকে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ শিক্ষার্থীদের। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে পুলিশ।
মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ চলাকালে এ ঘটনা ঘটে।
আটক শিক্ষার্থীর নাম আবদুল্লাহ শুভ। তিনি কোটা সংস্কার আন্দোলনের সংগঠন বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক।
অন্যদিকে হামলায় আহতরা হলেন আবদুল মজিদ অন্তর, মোর্শেদ, মাজহার ও শাহরিয়ার রিদম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় ২০ থেকে ৩০ জন শিক্ষার্থী ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কে অবস্থান নিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। তারা জাবিতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ওপর হামলাকারীদের গ্রেপ্তার ও ভিসির পদত্যাগ দাবি করেন। এক পর্যায়ে সেখানে কয়েকজন শিক্ষক তাদের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেন।
শিক্ষকরা চলে যাওয়ার পর পুলিশ শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাধা দেয়। এসময় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। একপর্যায়ে পুলিশ তাদের ওপর চড়াও হয়।
হামলায় আহত আবদুল মজিদ অন্তর জানান, তাদের ওপর পুলিশ মারধর ও লাঠিচার্জ করে আবদুল্লাহ শুভ নামে একজনকে আটক করে নিয়ে গেছে।
তবে অভিযোগ অস্বীকার করে নগরীর মতিহার জোন পুলিশের সহকারী কমিশনার মাসুদ জানান, কাউকে মারধর বা আটক করা হয়নি। কয়েকজন শিক্ষার্থী অবরোধ করে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছিলো। তাই তাদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
বাংলাদেশ সময়: ২১২১ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৫, ২০১৯
এসএইচ