বুধবার (৬ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ক্যাম্পাসে লালকার্ড প্রদর্শন করে বিক্ষোভ মিছিল বের করে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
পরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে গিয়েও বিক্ষোভ করেন তারা।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, সম্প্রতি ফাঁস হওয়া পাবিপ্রবি উপাচার্য ড. এম রোস্তম আলীর কাছে চাকরিপ্রার্থীর ঘুষ ফেরত চাওয়ার অডিও তদন্তসহ ১২ দফা দাবি পূরণের লক্ষে আন্দোলন করে আসছেন তারা। দাবি পূরণে বেধে দেওয়া সময়সীমা শেষ হলেও প্রশাসন কোনো পদক্ষেপ না নেওয়ায় উপাচার্যসহ প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের পদত্যাগের এক দফা দাবিতে গত ৩০ নভেম্বর থেকে আন্দোলন শুরু করেন তারা। আগামী ১৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। তার আগেই সংকট সমাধানের দাবি শিক্ষার্থীদের।
শিক্ষার্থীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের চলমান আন্দোলন বন্ধ করার জন্য প্রশাসন দিয়ে শিক্ষার্থীদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। এই ভিসি স্যার নিজের অপরাধ- দুর্নীতি ঢাকতে আমাদের আন্দোলন বন্ধের জন্য প্রশাসন দিয়ে হুমকি দিচ্ছে।
এদিকে ক্যাম্পাসে সব ধরনের ক্লাস এবং পরীক্ষা বন্ধ থাকায় সাধারণ শিক্ষার্থীদের অনেককেই ক্যাম্পাস ছেড়ে বাড়ি চলে যেতে দেখা গেছে।
শিক্ষার্থীরা বলেন, হলগুলোতে ডাইনিং বন্ধসহ বিভাগের শিক্ষকেরা মৌখিকভাবে আগামী ২০ নভেম্বর পর্যন্ত ক্লাস হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন।
অন্যদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীরা ৫ দফা দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করে ভিসি স্যারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন। দাবি পূরণ না হলে আগামী শনিবার থেকে কর্মবিরতিসহ অবস্থান কর্মসূচিও পালনের ঘোষণা দেন কর্মচারীরা।
এদিকে চলমান অবস্থার সংকট নিরসনের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক পরিষদ, কর্মকর্তা পরিষদ ক্যাম্পাসে মানববন্ধনসহ ভিসি স্যারের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছেন বলে জানা গেছে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬৩৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ০৬, ২০১৯
আরএ