সোমবার (১৮ নভেম্বর) বিকেল ৫টার দিকে শহরের মুনিগঞ্জস্থ ম্যাটস্-এর ক্যাম্পাসে একাডেমিক ও প্রশাসনিক ভবনের সামনে শিক্ষার্থীরা একত্রিত হওয়ার পর এসব ঘটনা ঘটে।
শিক্ষার্থীদের দাবিগুলো হলো- প্রতিষ্ঠানের স্টাফ কর্তৃক যৌন হয়রানি বন্ধ, স্টাফদের দিয়ে পরীক্ষার হলে গার্ড দেওয়া বন্ধ, অধ্যক্ষের অনুমতি ছাড়া পুরুষ স্টাফরা ছাত্রীদের হোস্টেলে প্রবেশ করতে পারবে না, ক্যাম্পাসের ভিতরে চাঁদাবাজি ও বহিরাগত লোক প্রবেশ করতে পারবে না, প্রতিষ্ঠানের উচ্চমান সহকারী শেখ মহিউদ্দিন, ভাণ্ডার রক্ষক খান ফয়সাল রাতুল, অফিস সহায়ক মো. বাবুল হোসেন, বাবুর্চী আবু হানিফ ও নৈশ প্রহরী আব্দুল হামিদকে বহিষ্কারসহ শিক্ষার্থীদের ন্যায্য অধিকার বাস্তবায়ন।
এদিকে শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে সম্মতি জ্ঞাপন করে অভিযোগের তদন্ত করতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন কলেজের অধ্যক্ষ স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক ডা. মো. আব্দুর রকিব।
এই কমিটিকে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে অভিযোগের বিষয়ে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটির সদস্যরা হলেন- স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. সমীর কান্তি পাল, ম্যাটস-এর প্রভাষক ডা. নাঈমা ফেরদৌসী, ডা. সুখরঞ্জন দাস এবং মেডিক্যাল কর্মকর্তা ডা. শেখ রিয়াদুজ জামান।
বাগেরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহতাব উদ্দিন বলেন, রাতে অধ্যক্ষের ফোন পেয়ে পুলিশ ফোর্স নিয়ে ম্যাটসে আসি। দেখি এখানে আন্দোলন হচ্ছে।
অধ্যক্ষ ডা. মো. আব্দুর রকিব বলেন, শিক্ষার্থীরা এসব অভিযোগের বিষয়ে আগে কখনো বলেনি। আজ তারা লিখিতভাবে অভিযোগ দিয়েছে। শিক্ষার্থীদের দাবি ও অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে ৪ সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ০১৫৯ ঘণ্টা, নভেম্বর ১৯, ২০১৯
এইচএডি/