রোববার (২৪ নভেম্বর) সন্ধ্যায় 'মুক্তির গান' শিরোনামে বিশ্ববিদ্যালয়ের মুক্তমঞ্চ থেকে শিক্ষার্থীদের একটি মশাল মিছিল বের হয়ে প্রধান ফটক ঘুরে আবার একই স্থানে এসে সমাবেশে মিলিত হয়। এরপর সেখানে শিক্ষার্থীদের গান, আড্ডা, স্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস, যা চলে রাত ১০টা পর্যন্ত।
সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, যেকোন সিদ্ধান্তে প্রশাসনের স্বেচ্ছাচারিতার কারণে দিনদিন ছাত্রদের অধিকার হরণ করা হচ্ছে। বিভিন্ন বিধি নিষেধের কারণে বিকেল ৫টার পর ক্যাম্পাস আর জমজমাট থাকে না। যার ফলে ক্যাম্পাসে দিনদিন ছিনতাইকারীদের উপদ্রব বেড়েই চলেছে।
এসময় শিক্ষার্থীরা মেয়েদের বাইরের হলে উচ্চ ভাড়া, ছুটির অজুহাতে হল বন্ধ রাখা, খাবারের মূল্যবৃদ্ধি, বিভিন্ন র্যাগ-ডে ও বিভাগের ওরিয়েন্টেশন, বিভিন্ন প্রোগ্রামের অনুমতি না দেওয়া, রোড পেইন্টিংসহ মোট ২৫টি দাবি তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা।
গত বুধবার (২০ নভেম্বর) হল খোলা রাখার দাবিতে আয়োজিত মানববন্ধনের ‘অনুমতি’ না নেওয়ার অজুহাতে বাধা দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল বডি। এর প্রতিবাদে পরদিন বৃহস্পতিবার (২১নভেম্বর) প্রক্টরের আচরণকে অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী উল্লেখ করে পুনরায় বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তৃতীয় সমাবর্তন ও শীতকালীন অবকাশে হল বন্ধের সিদ্ধান্তকে ঘিরে শুরু হয় শিক্ষার্থীদের এ আন্দোলন।
বাংলাদেশ সময়: ০১০৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এসএইচ