সোমবার (২৫ নভেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের শিক্ষক মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কর্মসূচির ঘোষণা দেন সংগঠনটির সমন্বয়ক অধ্যাপক রায়হান রাইন।
এসময় তিনি বলেন, হামলার নির্দেশদাতা দুর্নীতিবাজ উপাচার্যকে অপসারণের মধ্যদিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার স্বাভাবিক পরিবেশ নিশ্চিত করতে হবে এবং হামলাকারীদের বিচার করতে হবে।
নতুন কর্মসূচি অনুযায়ী আগামী ২৭ নভেম্বর বিক্ষোভ মিছিল ও ৩ ডিসেম্বর উপাচার্যের দুর্নীতির ক্ষতিয়ান প্রকাশ করার ঘোষণা দেন অধ্যাপক রায়হান রাইন।
এর আগে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জাহাঙ্গীরনগরের সংগঠক ও সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট জাবি শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ।
লিখিত বক্তব্যে মাহাথির বলেন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি আরোপিত অচলাবস্থা জারি করে রেখেছেন অবাঞ্ছিত উপাচার্য ও তার প্রশাসন। গত ৫ নভেম্বর আমাদের যৌক্তিক আন্দোলনের ওপর বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের একটি বিশেষ অংশকে লেলিয়ে দেন এ অবাঞ্চিত উপাচার্য। আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের নৃশংসভাবে পেটানো হয় ছাত্রলীগের ওই বিশেষ অংশ ও কর্মচারীদের দিয়ে। নিজের বাসার সামনে ঘটা এ ন্যাক্কারজনক সন্ত্রাসকে গণঅভ্যুত্থান আখ্যায়িত করে উপাচার্য এক পাশবিক উল্লাস প্রকাশ করেছেন।
তিনি আরও বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধ রাখার মধ্যে ঘোষণা করা হয়েছে নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম। বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ক্যাম্পাস ছাড়া করে ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা করার সিদ্ধান্ত হাস্যকর। হল বন্ধ রেখে ভর্তি প্রক্রিয়া কার্যক্রম চালু করলেই ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের ওপর অশান্তি নেমে আসবে। নিজের গদি টিকিয়ে রাখতেই নবীন শিক্ষার্থীদের ভোগান্তিতে ফেলবার কোনো অধিকার অনির্বাচিত উপাচার্যের নেই। সচল ক্যাম্পাসেই করতে হবে ভর্তি কার্যক্রম। সেইসঙ্গে গত ৫ নভেম্বরের হামলাকারীদের বিচার ও শাস্তির আওতায় আনতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৩১ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৫, ২০১৯
এবি/