ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কুবিতে পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় স্থান!

কুবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০২৩ ঘণ্টা, নভেম্বর ৩০, ২০১৯
কুবিতে পরীক্ষা না দিয়েই মেধাতালিকায় স্থান!

কুবি: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে (কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষায় অংশ না নিয়েই ‘বি’ ইউনিটের (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান ও আইন অনুষদ) মেধাতালিকায় ১২তম হয়েছেন এক শিক্ষার্থী।

তবে মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া ওই শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ের মৌখিক সাক্ষাৎকারে অংশ নেননি। সংশ্লিষ্ট ইউনিটের দায়িত্বপ্রাপ্তদের দাবি জালিয়াতির উদ্দেশে বা ভুলবশত অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর রোলের জায়গায় অন্য কোনো পরীক্ষার্থী রোল লিখে উত্তরপত্র পাঠানো হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ৮ নভেম্বর (শুক্রবার) বিকেল ৩টায় ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফলে মেধা তালিকায় ১২তম হন ২০৬০৫০ রোলধারী ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থী। সিট প্ল্যান অনুযায়ী তার সিট পড়েছিল কোটবাড়ির টিচার্স ট্রেনিং কলেজে। ওই পরীক্ষা কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীর স্বাক্ষর তালিকার তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, তার নাম মো. সাজ্জাতুল ইসলাম। বাবার নাম মো. রেজাউল করিম, মার নাম শামসুন্নাহার বেগম। ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য পরীক্ষার হলে সরবরাহ করা উপস্থিতির খাতায় সাজ্জাতের স্বাক্ষর নেই। তবে ১২ নভেম্বর প্রকাশিত ‘বি’ ইউনিটের ফলাফলে দেখা যায়, ২০৬০৫০ রোল নম্বরধারী সাজ্জাতুল ইসলাম ‘বি’ ইউনিটের (মানবিক) মেধাতালিকায় ১২তম স্থান অধিকার করেছেন।

পরীক্ষার্থীদের স্বাক্ষর তালিকার খাতা।  ছবি: বাংলানিউজ

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সচিব ড. শামীমুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় ওই কেন্দ্রে কোনো শিক্ষার্থী ভুলবশত অথবা জালিয়াতির উদ্দেশে অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর রোল লিখেছে যা কেন্দ্রে দায়িত্বরত শিক্ষকদের অবহেলার কারণে ঘটতে পারে। বিষয়টা আমাদের নজরে আসার পর ভাইবাতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করার সিদ্ধান্ত হয়। কিন্তু সে ভাইবা দিতেও আসেনি। এখানে ভর্তি পরীক্ষা কমিটির কোনো দায় থাকতে পারে না। আমরা নিরাপত্তার স্বার্থেই বিষয়টি কমিটির সদস্যদের মধ্যে গোপন রেখেছি।

‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মাসুদা কামাল বাংলানিউজকে বলেন, আমরা অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর রোল নম্বর ফলাফল প্রকাশের পরে জানতে পেরেছি। আমরা ইউনিটের সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত নিয়ে তার বিষয়টি খতিয়ে দেখি এবং সাক্ষাৎকারের সময় অনুপস্থিত থাকায় তাকে আমরা ধরতে ব্যর্থ হই।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমরান কবির চৌধুরী বাংলানিউজকে বলেন, অনুপস্থিত শিক্ষার্থীর নাম মেধাতালিকায় চলে আসার বিষয়টি আমি জানতে পেরেছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিটের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯০৮ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০১৯
এনটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।