রোববার (০১ ডিসেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদের সই করা এক অফিস আদেশে এ নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ওই আদেশে বলা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী কবির আল গালিবের দেওয়া ওই স্ট্যাটাসটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রচলিত শৃঙ্খলা বিধির ৫(ক) নম্বর ধারা ভঙ্গ করার সামিল।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসির উদ্দিনের পদত্যাগের একদফা আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা রাখেন শিক্ষার্থী কবির আল গালিব। গত ৩০ সেপ্টেম্বর শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেন নাসির উদ্দিন।
এরপর ভারপ্রাপ্ত ভিসি হিসেবে দায়িত্ব পান প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান। তিনি দায়িত্ব নেওয়ার পর শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন দাবি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে স্মারকলিপি পেশ করেন। ওইসব দাবির মধ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সংক্ষিপ্ত করে ‘বঙ্গবন্ধু বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়’ রাখার দাবিও করা হয়।
কিন্তু বিষয়টি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন এটি অগ্রাহ্য করে। পরে শিক্ষার্থী কবির আল গালিব বিষয়টি নিয়ে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দেয়। বিষয়টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ছড়িয়ে পড়ে। এটি দেখে তাদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। এসময় শিক্ষার্থীরা তাকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের দাবি তোলেন।
কিন্তু বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাকে বহিষ্কার না করে তার পরীক্ষার ব্যবস্থা করে। এনিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে ফের ব্যাপক ক্ষোভ ও উত্তেজনার সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থীরা পুনরায় গালিবকে স্থায়ী বহিষ্কারের জন্য ভারপ্রাপ্ত ভিসির কাছে আবেদন করেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে গালিবকে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে কবির আল গালিবের সঙ্গে মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে তিনি কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।
ভারপ্রাপ্ত ভিসি প্রফেসর ড. মো. শাহজাহান বাংলানিউজকে বলেন, কবির আল গালিব একটি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠায় তাকে সাময়িকভাবে পরীক্ষা থেকে বিরত থাকবে বলা হয়েছে। অভিযোগটি স্পর্শকাতর হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার প্রফেসর প্রফেসর ড. মো. নূরউদ্দিন আহমেদকে প্রধান করে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির রিপোর্ট পাওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৬২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০১, ২০১৯
এসএ/