রোববার (০১ ডিসেম্বর) যবিপ্রবির প্রশাসনিক ভবনের সম্মেলন কক্ষে এক সেমিনারে গবেষক দলটি পোল্ট্রি শিল্পে অ্যান্টিবায়োটিকের বিপরীতে তাদের উদ্ভাবিত প্রোবায়োটিক ব্যবহারের তুলনামূলক চিত্র তুলে ধরে।
মাঠ পর্যায়ে পরীক্ষায় সাফল্যের পর বিশ্ববিদ্যালয়ের আশপাশের খামারিদের উপস্থিতিতে এ উদ্ভাবন তুলে ধরা হয়।
যবিপ্রবির উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আনোয়ার হোসেন এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বাংলাদেশ বিজ্ঞান একাডেমি এবং আমেরিকার কৃষি বিভাগের আর্থিক সহায়তায় যবিপ্রবির অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মো. ইকবাল কবীর জাহিদের নেতৃত্বে গবেষক দল নতুন এ প্রোবায়োটিক উদ্ভাবন করে। তার গবেষণা দলে ছিলেন একই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক প্রভাস চন্দ্র রায় ও প্রভাষক শোভন লাল সরকার এবং নাইজেরিয়ার নাগরিক পিএইচডি শিক্ষার্থী রিন ক্রিস্টোফার রুবেন।
উদ্ভাবনের বিষয়ে আন্তর্জাতিক কয়েকটি বিজ্ঞান সাময়িকীতে গবেষণাপত্রও প্রকাশিত হয়েছে বলে গবেষক দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়।
গবেষক দলটি জানিয়েছে, অ্যান্টিবায়োটিক মুরগির অন্ত্রে থাকা সব ধরনের জীবাণুকে মেরে ফেলে। এতে করে ক্ষতিকর জীবাণুর সঙ্গে সঙ্গে মুরগির বৃদ্ধি কমে যায়। তা ছাড়া এর অধিক ব্যবহার স্বাস্থ্যের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ।
অন্যদিকে প্রোবায়োটিক ব্যবহারের ফলে মুরগির মৃত্যুর হার কম। প্রোবায়োটিকে ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যা কমে এবং কম খেয়েও মুরগীর ওজন দেড়গুণ বেশি বৃদ্ধি পায় বলে জানায় গবেষক দলটি।
গবেষক দলটি জানায়, ভারতের একটি ওষুধ কোম্পানি পোল্ট্রি শিল্পের জন্য প্রোয়োবায়োটিক বিক্রি করে যা বাংলাদেশেও পাওয়া যায়। কিন্তু বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো এখনো প্রোয়োবায়োটিক দিয়ে কোনো ওষুধ বাজারে আনেনি।
তারা জানান, অ্যান্টিবায়োটিক ব্যবহার করা ছাড়াও মুরগি পালন করা সম্ভব এবং লাভজনক। তাদের উদ্ভাবিত নতুন এ প্রোবায়োটিক বাংলাদেশের পোল্ট্রি শিল্পে ব্যবহার করলে খামারি এবং ভোক্তা উভয়ই লাভবান হবে।
তাদের গবেষণা ফলাফল ও পদ্ধতি ব্যবহার করে বাংলাদেশের ওষুধ কোম্পানিগুলো প্রোবায়োটিক উৎপাদন করে তা বাজারে আনতে পারবে বলে জানান গবেষক দলটি।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ০২, ২০১৯
ইউজি/এবি