বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, বুধবার (১১ ডিসেম্বর) ইউজিসির সদস্য অধ্যাপক দিল আফরোজা বেগম স্বাক্ষরিত একটি চিঠি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের দফতরে আসে। পরে উপাচার্যের দফতর থেকে চিঠিটি রেজিস্ট্রারের দফতরে পাঠানো হয়।
চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী জানান, সন্ধ্যা কোর্সসহ ১৩টি নির্দেশনা সম্বলিত ইউজিসির একটি চিঠি পেয়েছি। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় ‘টেবিল এজেন্ডা’ হিসেবে সান্ধ্য কোর্সের বিষয়ে আলোচনা হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দফতরের প্রশাসক অধ্যাপক প্রভাষ কুমার কর্মকার জানান, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ইউজিসির নির্দেশনার পক্ষে রয়েছে। এটা কারও একার সিদ্ধান্তে হবে না। একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় আলোচনার মাধ্যমে সিদ্ধান্ত হতে পারে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক শাখা সূত্রে জানা যায়, বর্তমানে আইন অনুষদের একটি বিভাগ, সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ৬টি বিভাগ, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ৬টি বিভাগ, বিজ্ঞান অনুষদের ২টি বিভাগ এবং প্রকৌশল অনুষদের একটি বিভাগে সান্ধ্য কোর্স চালু আছে। এছাড়া, বায়োলজিক্যাল সায়েন্সেস ইনস্টিটিউট, ব্যবসায় প্রশাসন ইনস্টিটিউট (আইবিএ), শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট এবং ইংলিশ অ্যান্ড আদার ল্যাঙ্গুয়েজ ইনস্টিটিউটে এ কোর্স রয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এসব বিভাগ ও ইনস্টিটিউটে সন্ধ্যাকালীন এবং পোস্ট গ্র্যাজুয়েট ডিপ্লোমা নামে বিভিন্ন মেয়াদী কোর্স চালু রয়েছে। এসব কোর্সের জন্য প্রায় ৫০ হাজার থেকে ২ লাখ টাকা খরচ হয়।
এর মধ্যেই ইউজিসির চিঠি নিয়ে আলোচনার পরিপ্রেক্ষিতে শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউট আপাতত নতুন করে সন্ধ্যা কোর্সে শিক্ষার্থী ভর্তি না করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে কোর্স চালু থাকা বিভাগ ও ইনস্টিটিউটের পরিচালকেরা বলছেন, একাডেমিক কাউন্সিলে আলোচনার পরই কোর্স চালু হয়েছে। এটা কোনো বিভাগের একার সিদ্ধান্ত নয়। এখন বিশ্ববিদ্যালয়ের সম্মিলিত সিদ্ধান্তের আগে তারাও কোনো সিদ্ধান্ত নেবেন না।
এ বিষয়ে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক এমএ বারী বাংলানিউজকে বলেন, ইউজিসির চিঠিতে দেওয়া পরামর্শ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অভ্যন্তরীণ কথাবার্তা হচ্ছে। তবে এই সান্ধ্য কোর্সেও বিষয়টি কোনো পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের একার সিদ্ধান্ত নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় সিদ্ধান্ত নিলে অন্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলো থেকে বিরূপ মন্তব্য আসতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২১১৪ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০১৯
এসএইচ