ঢাকা, শুক্রবার, ৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

খাদ্য প্রকৌশলীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন 

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০১৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
খাদ্য প্রকৌশলীরা অবমূল্যায়িত হচ্ছেন 

শাবিপ্রবি: খাদ্য প্রকৌশলীদের যথাযথ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না উল্লেখ করে মূল্যায়নের দাবি জানিয়েছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড টি টেকনোলজি (এফইটি) বিভাগের শিক্ষার্থীরা।

দেশে নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণে খাদ্য সম্প্রসারণ অধিদপ্তরসহ সব সরকারি প্রতিষ্ঠানে নিয়োগ ও যথাযথ মূল্যায়ন করার জোর দাবি জানিয়েছেন তারা। তাদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করেছেন বিভাগের শিক্ষকরাও।

মঙ্গলবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে গণমাধ্যমে পাঠানো এক প্রেসবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।

এতে বলা হয়, বর্তমানে বাংলাদেশ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ। কিন্তু নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ এখানো সম্ভব হয়নি। যার ফলে বর্তমান সরকার নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে জনবল সৃষ্টির ব্যাপারে উল্লেখযোগ্য পদক্ষেপ নিয়েছে। কিন্তু সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অধীনে প্রস্তাবিত ‘কৃষি যান্ত্রিকীকরণ ও সেচ ব্যবস্থাপনা উইং’এর সঙ্গে খাদ্য ‘সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ উইং’ অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। গ্রেড-৯ কারিগরি পদসমূহে খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তিকরণও উল্লেখ করা হয়নি। অথচ ২০০২ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পে ‘ফলমূল ও শাকসবজি সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ’ সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্ব অনুধাবন করে স্থায়ী জনবল সৃষ্টি ও খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তকরণ উল্লখ করা হলেও ২০১৯ সালে প্রস্তাবিত প্রকল্পে অদৃশ্য ও অজানা কারণে তা বাদ দেওয়া হয়েছে। দুঃখজনক হলেও সত্য যে, সরকারি এসব ক্ষেত্রে উপযুক্ত গ্র্যাজুয়েটদের অন্তর্ভুক্ত ও যথায়থ মূল্যায়ন করা হচ্ছে না।   

বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, দেশে খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণের লক্ষ্যে খাদ্য সংরক্ষণ ও প্রক্রিয়াজতকরণ সংক্রান্ত প্রায়োগিক জ্ঞানের আলোকেই এফইটি বিভাগের শিক্ষা কারিকুলাম তৈরি করা হয়। প্রতিবছর দেশের বেসরকারি, বহুজাতিক ও আন্তর্জাতিক প্রতিষ্ঠানসমূহে খাদ্য প্রকৌশলীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখছেন। কিন্তু সরকারি প্রতিষ্ঠানসমূহে তা উপেক্ষিত। আমাদের বিশ্বাস, এসব ক্ষেত্রে যথাযথভাবে খাদ্য প্রকৌশলীদের সুযোগ দেওয়া হলে দেশ ও জাতির নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণের মাধ্যমে সরকারের উত্তরোত্তর সাফল্য ও অভীষ্ট লক্ষ্য সফলভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সম্ভবপর হবে। তাই যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে উপরোক্ত বিষয়টি পুনর্বিবেচনার দাবি জানাচ্ছি।

এফইটি বিভাগের ২০১৬-১৭ সেশনের শিক্ষার্থী আমজাদ পাটোয়ারী বলেন, প্রস্তাবিত এই প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে খাদ্য প্রকৌশলীদের প্রতি বঞ্চনা ও অবহেলার বিষয়টি পরিপূর্ণভাবে উঠে আসবে। এর ফলে দেশের নিরাপদ খাদ্য নিশ্চিতকরণ হুমকির সম্মুখীন হবে। তাই প্রস্তাবিত এই প্রকল্পে খাদ্য প্রকৌশলীদের অন্তর্ভুক্তি করে যথাযথ কর্তৃপক্ষের কাছে বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আহ্বান জানাচ্ছি।  

এফইটি বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. মোজাম্মেল হক বলেন, এটা খাদ্য প্রকৌশলীদের প্রাপ্য অধিকার থেকে বঞ্চিত করার প্রয়াস মাত্র। অথচ নিরাপদ ও পুষ্টিকর খাদ্যের সুষম বন্টন, ব্যবহার ও প্রক্রিয়াজতকরণ সম্পর্কে খাদ্য প্রকৌশলীদের কার্যক্রম সবচেয়ে বেশি। তারা এসব বিষয় সম্পর্কে ব্যবহারিক ও প্রয়োগিক জ্ঞান অর্জন করে বিভিন্ন ধরনের গবেষণা করে থাকেন। কিন্তু সম্প্রতি কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের প্রকল্পে অদৃশ্য কারণে খাদ্য প্রকৌশলীদের বাদ দেওয়া হয়েছে, যা কখনো কাম্য নয়। বিষয়টি পুনির্বিবেচনার জন্য শিক্ষার্থীদের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করছি।

বাংলাদেশ সময়: ০৫১৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৮, ২০১৯
আরবি/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।