রোববার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে।
এসময় নুরসহ বাংলাদেশ সাধারণ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের যুগ্ম-আহ্বায়ক রাশেদ খান, ফারুক হাসানসহ তিনজনকে কক্ষে আটকে মারধর করা হয়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চের একাংশের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক আল মামুন, ঢাবি শাখার সভাপতি সনেটের নেতৃত্বে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী এ হামলায় অংশ নেন। পরে তাদের সঙ্গে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরাও যোগ দেয়। ছাত্রলীগের ঢাবি শাখার সভাপতি সনজিত চন্দ্র দাস, সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেনও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন।
ডাকসু ভবনের মূল ফটক বন্ধ করে নুরসহ ছাত্র অধিকার সংরক্ষণ পরিষদের নেতাকর্মীদের ওপর দেশীয় অস্ত্র (লাঠিসোটা, ইট) নিয়ে হামলা করা হয়। এসময় হেলমেট পরিহিত বহিরাগতদের অংশ নিতে দেখা যায়। হামলায় ডাকসু ভবনের মূল ফটকসহ জানালার গ্লাস ভেঙে যায়।
ঘটনাস্থলে এসেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. একেএম গোলাম রব্বানী।
এদিকে এ ঘটনায় আহত ২০ জনকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে। এদের মধ্যে ১ জন ছাড়া বাকিদের অবস্থা স্বাভাবিক।
ঢাকা মেডিক্যাল পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ ইন্সপেক্টর বাচ্চু মিয়া সোয়া দুইটার দিকে জানিয়েছিলেন, এ পর্যন্ত ৮ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছে। এদের মধ্যে একজনের অবস্থা গুরুতর। বাকিদের শরীরে কিল ঘুষির আঘাত দেখা গেছে।
ঢামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এ কে এম নাসির উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনায় ১৫ থেকে ২০ জন আহত হয়ে আমাদের হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার জন্য এসেছে। তাদের জরুরি বিভাগে পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। আমাদের চিকিৎসকরা তাদের দেখভাল করছেন। এদের মধ্যে কারও অবস্থাই তেমন গুরুতর নয়।
বাংলাদেশ সময়: ১৪০৮ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২২, ২০১৯
এসকেবি/এজেডএস/এইচএডি/