ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

‘ভালো দিক নিয়ে চিন্তা করলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা পাবে’

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২২৪৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০১৯
‘ভালো দিক নিয়ে চিন্তা করলেই শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা পাবে’

ঢাকা: ভালো দিক নিয়ে চিন্তা করলেই সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা পাবে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মো. সাজ্জাদ হোসেন।

তিনি বলেছেন, সমাজে ভালোমন্দ বিরাজ করে। তবে মন্দের সংখ্যা খুবই নগণ্য।

যা কিছু ভালো আমাদের তা নিয়েই আলোচনা করতে হবে। ভালো নিয়ে আলোচনা করলে সমাজে শুদ্ধাচার প্রতিষ্ঠা পাবে। তাতে আমাদের সমাজ আরও সুন্দরভাবে এগিয়ে যাবে।

শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) সকালে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি পার্বত্য জেলা বান্দরবানের একটি রিসোর্টে ইউজিসি আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে তথ্যপ্রযুক্তিবিদ ড. সাজ্জাদ হোসেন এসব কথা বলেন।  

দেশের বিশ্ববিদ্যালয়সমূহের কর্মকাণ্ড স্বচ্ছ ও গতিশীল করা এবং প্রজাতন্ত্রের কর্মচারীদের মধ্যে শুদ্ধ আচরণ সৃষ্টি এবং তা বাস্তবায়নের জন্য জাতীয় শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়ন ও বার্ষিক কর্মসম্পাদন চুক্তি সংক্রান্ত এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।  

দুই দিনব্যাপী এই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যসহ সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নিয়েছেন। ইউজিসি চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহর সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উ শৈ সিং।  

অনুষ্ঠানের বিশেষ অতিথি ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, পৃথিবীর সঙ্গে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন দেখেছিলেন। সমৃদ্ধ সোনার বাংলার স্বপ্ন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের ২০২১, ২০৩০, ২০৪১ এবং ডেল্টা প্ল্যান নামের ফ্রেমওয়ার্ক করে দিয়েছেন। এই ফ্রেমওয়ার্ক বাস্তবায়ন করতে পারলেই আমরা উন্নত সমৃদ্ধ বাংলাদেশে পৌঁছাতে পারবো।

অনুষ্ঠােনে উপস্থিত অতিথিরা।  ‘এ ক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে। কারণ বিশ্ববিদ্যালয়গুলো হচ্ছে গবেষণার প্রাণকেন্দ্র, গবেষণার নলেজ সেন্টার। সেই সঙ্গে তাদের ওয়েলথ জেনারেশনের প্রাণ কেন্দ্রও হতে হবে। ’ 

তিনি বলেন, গবেষণার কথা এলেই আসে স্বত্ত্ব (প্যাটেন্ট), বাণিজ্যিকীকরণ ও ইনোভেশনের বিষয়টি। গবেষণার মূলকথা হচ্ছে মানুষের জীবনযাত্রাকে সহজীকরণ করার পন্থা উদ্ভাবন করা। গবেষণার মানেই হচ্ছে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠা করা।  

‘কেননা আমরা ডিজিটালাইজেশনের মাধ্যমে একটি আধুনিক বাংলাদেশে রূপান্তর করা এবং দুর্নীতিমুক্ত বাংলাদেশ নির্মাণ করতে পারলেই সমৃদ্ধ দেশে পৌঁছাতে পারবো। আর তা কেবল গবেষণার মাধ্যমেই আমাদের করতে হবে। ’ 

বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে তথ্যপ্রযুক্তির ওপর জোর দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে এই গবেষক বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো উন্নত বিশ্বের একেকটা প্রাণকেন্দ্র। আমাদের এখন ইন্টারনেট অব থিংস, ডাটা অ্যানালাইসিস নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। আমাদের ডেমোগ্রাফিক ডিভিডেন্ট আছে। এটা হচ্ছে- ১৫ থেকে ৩৫ বছরের ৮০ মিলিয়ন যুবা-তরুণ।  

‘তাদের দক্ষ করে ওয়েলথ হিসেবে গড়ে তুলতে পারলেই আমাদের সোনার বাংলা রুখতে পারবে না কেউ। সেক্ষেত্রে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পিলার হিসেবে কাজ করবে। বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে আমরা জ্ঞানচর্চার কেন্দ্র, সম্পদের কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তুলতে চাই। ’

বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের আহ্বান জানিয়ে ইউজিসি সদস্য ড. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, আমরা একটা কনক্লুসিভ গবেষণা পরিকল্পনা করছি। এতে আপনাদের (উপাচার্য) সহযোগিতা দরকার। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে গবেষণা, প্যাটেন্ট এবং ইনোভেশনকে একটা ফ্রেমওয়ার্কে আনা সম্ভব হবে।  

‘আর এটা করতে পারলে মানসম্পন্ন গবেষণা হবে। যার ফলশ্রুতিতে মানুষের নানা কল্যাণ সাধিত হবে। আমাদের তরুণদের উদ্ভাবন বিশ্ব দেখবে। উন্নত দেশের কাতারে পৌঁছাবে বাংলাদেশ। ’ 

অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বান্দরবান পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ক্য শৈ হ্লা, তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের সিনিয়র সচিব এন এম জিয়াউল আলম, মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সচিব (সমন্বয় ও সংস্কার) শেখ মুজিবুর রহমান, ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. আখতার হোসেন, অধ্যাপক ড. দিল আফরোজ বেগম, ড. মুহম্মদ আলমগীর প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন ইউজিসি সদস্য অধ্যাপক ড. এম শাহ নওয়াজ আলি।  

বাংলাদেশ সময়: ১৭২২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৬, ২০১৯
এমএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।