সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৫টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের মুরাদ চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু করে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট এবং এর নেতাকর্মীরা। মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলো ঘুরে পরিবহন চত্বরে এসে সংক্ষিপ্ত সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
সমাবেশে বক্তারা গত বছরের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনকে ‘ভোটারবিহীন নির্বাচন’ অ্যাখ্যা দেন। এছাড়া, ৩০ ডিসেম্বরকে ‘গণতন্ত্র হত্যা দিবস’ উল্লেখ করে কালো দিবস হিসেবে পালন করার আহ্বান জানান তারা। সেই সঙ্গে তারা বাম গণতান্ত্রিক জোটের নেতাকর্মীদের ওপর পুলিশি হামলার নিন্দা জানান।
বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশে সংহতি প্রকাশ করে জাহাঙ্গীরনগর সাংস্কৃতিক জোটের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম পাপ্পু বলেন, দেশ ও বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে প্রশাসক গোষ্ঠী একই পথে হাঁটছেন। বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালনার ক্ষেত্রে যেমন উপাচার্য শিক্ষার্থীদের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না, ঠিক তেমনই সরকারও জনগণের মতামতকে গুরুত্ব দিচ্ছে না। আমরা স্বৈরাচারকে বাড়তে দিচ্ছি এজন্য স্বৈরাচার বাড়ছে। আমাদের সময় হয়েছে এ অন্যায়ের প্রতিবাদ করার। সম্মিলিত প্রতিবাদের মাধ্যমেই এ স্বৈরাচার তাড়ানো সম্ভব হবে।
ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক শোভন রহমান বলেন, গত বছরের ৩০ ডিসেম্বর ভোটারবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। সে নির্বাচনের প্রতিবাদে যখন বামজোট মিছিলে নামে তখন পুলিশ দিয়ে হামলা করানো হয়েছে। এ হামলায় আহত হয়েছেন একাধিক নেতাকর্মী। আমরা এ হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানাই।
সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি মাহাথির মুহাম্মদ বলেন, বাংলাদেশের সব ক্ষেত্রে দলীয়করণ হয়েছে। পুলিশকে দলীয় সংগঠনে রূপান্তর করা হয়েছে। পরপর দু’টি ভোটারবিহীন নির্বাচন করে এ সরকার ক্ষমতায় টিকে আছে। অতীতের সব স্বৈরাচারী সরকারকে যেভাবে মানুষ প্রতিহত করেছে, এবারও সেভাবে দেশের মানুষ তাদের প্রতিহত করবে। অতীতে কোনো স্বৈরাচারী সরকার টিকে থাকতে পারেনি, ভবিষ্যতেও পারবে না। সেই সঙ্গে আজকের হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে সরকারকে আহ্বান করছি হামলার জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করুন এবং মধ্যবর্তী নির্বাচন দিয়ে জনগণের ক্ষমতা প্রতিষ্ঠিত করুন।
বাংলাদেশ সময়: ১৮৪০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০১৯
এফএম