ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশের কারিগর হবে শিশুরা’

ইউনিভার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১, ২০২০
‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশের কারিগর হবে শিশুরা’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: প্রাথমিক ও গণশিক্ষা প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের উন্নত বাংলাদেশের কারিগর হবে শিশুরা। 

বুধবার (১ জানুয়ারি) দুপুর ১২টায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের বই বিতরণ উৎসবের উদ্বোধনকালে তিনি একথা বলেন।  

বই বিতরণ উৎসব ২০২০’র মূল লক্ষ্য হচ্ছে বছরের শুরুতে শিশুদের হাতে নতুন বই তুলে দিয়ে তাদের বিদ্যালয় ভীতি দূর করা, বিদ্যালয়কে আনন্দমুখর ও শিশুকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত করা এবং বছরের শুরু থেকেই বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি বাড়ানো।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. আকরাম-আল-হোসেনের সভাপতিত্বে এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট মোস্তাফিজুর রহমান।

বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম বাবু, ফেরদৌসি ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) সোহেল আহমেদ।

প্রতিমন্ত্রী জাকির হোসেন বলেন, দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও সমৃদ্ধি অর্জনে দক্ষ মানবসম্পদের কোনো বিকল্প নেই। আর দক্ষ মানবসম্পদ তৈরিতে শিক্ষার কোনো বিকল্প নেই। আর শিক্ষার মূল ভিত্তি হলো প্রাথমিক শিক্ষা।

তিনি বলেন, ২০৪১ সালে আমরা উন্নত বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখছি। সেই উন্নত বাংলাদেশের সুফল ভোগ করবে এই শিক্ষার্থীরা। আগামী দিনে এই শিক্ষার্থীরা জাতি ও দেশ গঠনে নেতৃত্ব দেবে।

‘আমি তোমাদের অনুরোধ করবো, ভালোভাবে লেখাপড়া করে ভালো মানুষ হিসেবে নিজেকে তৈরি করতে হবে। যাতে করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে পারি। জাতির পিতার উন্নত বাংলাদেশের কারিগর হবে তোমরা। এখানে যারা শিক্ষকরা আছেন, দায়িত্বপ্রাপ্ত যারা আছেন, বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ে সবাই মিলে তার রক্তের ঋণ শোধ করবো। ’

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সভাপতি মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, প্রধানমন্ত্রী ২০৪১ সালে বাংলাদেশকে যে জায়গায় নিয়ে যেতে চান, সেখানে পৌঁছাতে হলে শিশুদের অন্তরে বাংলাদেশকে গেঁথে দিতে হবে। এটা করতে কোনো প্রকল্প দরকার হবে না। আমাদের শিক্ষকরা পারবেন। তারা আন্তরিক হলে সব বদলে যাবে। আমার আস্থা রয়েছে। আমরা বদলে গেলে দেশ বদলে যাবে।

বই উৎসব উপলক্ষে ঢাবির কেন্দ্রীয় খেলার মাঠকে সাজানো হয় বিচিত্র সাজে। যার মধ্যে বিদ্যমান ছিল জাতীয় পতাকা। নতুন বই পাওয়ার পর উল্লাস প্রকাশ করে শিক্ষার্থীরা। এসময় আমন্ত্রিত অতিথিরা মঞ্চ থেকে নেমে শিশুদের কাতারে গিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন।  

ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানকে পেয়ে ব্যাপক উচ্ছ্বসিত হয় শিক্ষার্থীরা। তারা বাংলানিউজকে বলেন, নতুন বই পড়তে যেমন ভালো লাগে, দেখতেও ভালো লাগে। অনুষ্ঠানে এসে ভালো লাগছে। সাকিব ভাইকে দেখলাম সরাসরি। আমরা এখান থেকে অনুপ্রেরণা পাই।

মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, ২০২০ সালে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত সম্ভাব্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা দুই কোটি দুই লাখ ৮৪ হাজার ৫১ জন। প্রাক-প্রাথমিকের সম্ভাব্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৩২ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৮ জন। ২০২০ সালের জানুয়ারি মাসে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সব শিক্ষার্থীর কাছে বই বিতরণের জন্য প্রাক-প্রাথমিকের জন্য ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩৮টি আমার বই এবং ৩৩ লাখ ৩৭ হাজার ৬৩৮টি অনুশীলন খাতা মুদ্রণ করা হয়েছে। প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির জন্য সর্বমোট ২৯ কোটি ৮৫ লাখ ৫ হাজার ৪৮০টি পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ করা হয়েছে।  

এছাড়াও ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর চাকমা, মারমা, গারো, ত্রিপুরা ও সাদরি ভাষায় প্রণীত প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণির আমার বই ২৮ হাজার ৭৩৫টি, অনুশীলন খাতা ২৮ হাজার ৭৩৫টি এবং প্রাথমিক স্তরের প্রথম শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ৭৪ হাজার ৮৪৭টি, দ্বিতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ৭৩ হাজার ৬৩৫টি এবং তৃতীয় শ্রেণির পাঠ্যপুস্তক ২৪ হাজার ১৫১টি মুদ্রণ করা হয়েছে। এসব বই ইতোমধ্যে উপজেলা পর্যায়ে পাঠানো হয়েছে।

বাংলাদেশ সময়: ১৩২৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০১, ২০২০
এসকেবি/এসএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।