ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

মাতৃভাষায় বই পাচ্ছে ৩য় শ্রেণির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০০৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২, ২০২০
মাতৃভাষায় বই পাচ্ছে ৩য় শ্রেণির ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুরা

খাগড়াছড়ি: চলছে বই উৎসব। শিশুদের হাতে হাতে এখন নতুন পাঠ্যবই। এদিকে নতুন বইয়ের আনন্দে নতুন মাত্রা ছাড়িয়েছে পাহাড়ের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুদের।

বাংলা, ইংরেজিসহ অন্য বইয়ের পাশাপাশি তারা পেয়েছে মাতৃভাষার বই। এ বছর খাগড়াছড়িতে তিন ভাষায় মোট ৪০ হাজার ৫৫৯ জন শিশু মাতৃভাষায় বই পেয়েছে।

তবে এবার নতুন করে তৃতীয় শ্রেণির নয় হাজার ১৬৫ জন শিশু মাতৃভাষায় বই পেয়েছে। প্রাথমিকভাবে তাদেরকে বাংলা বই দেওয়া হচ্ছে। এর আগে ২০১৭ সাল থেকে প্রাক-প্রাথমিক, ১ম শ্রেণি ও ২য় শ্রেণির শিক্ষার্থীদের মাতৃভাষায় বই দেওয়া হচ্ছে। এ বছর ৪০ হাজার ৫৫৯ জন ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর শিশুর মধ্যে ৯১ হাজার ৭০৪টি বই বিতরণ করা হচ্ছে।

এরমধ্যে প্রাক-প্রাথমিকে পাঁচ হাজার ২১৫জন চাকমা, দু’হাজার ৯৭৫জন মারমা ও তিন হাজার ৪৫৩ জন ত্রিপুরা শিক্ষার্থীসহ মোট ১১ হাজার ৬৪৩ জন শিক্ষার্থী নিজ মাতৃভাষায় দুটি করে বই পাবে।

১ম শ্রেণিতে চার হাজার ৬৭২ জন চাকমা, দু’হাজার ৪৩৩ জন মারমা এবং তিন হাজার ৩৫০ জন ত্রিপুরা শিশু মিলে মোট ১০ হাজার ৪৫৫ জন শিশু অন্য বইয়ের সঙ্গে তিনটি করে মাতৃভাষার বই পাবে। ৩য় শ্রেণিতে চার হাজার ২৬০ জন চাকমা, দু’হাজার ১৬১ জন মারমা এবং দু’হাজার ৭৪৪ জন ত্রিপুরা শিশুর মধ্যে একটি করে মাতৃভাষায় বই দেওয়া হবে।

খাগড়াছড়ির জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার ফাহেমা মেহের ইয়াসমিন বলেন, বর্তমান সরকার শিক্ষাখাতে বিশেষ গুরুত্ব দিয়ে যাচ্ছে। তারই অংশ হিসেবে সরকার দেশের ক্ষুদৃ নৃগোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষায় পড়ার ব্যবস্থা করেছেন।

প্রাথমিকভাবে পাঁচটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর ভাষায় পাঠ্যপুস্তক বের করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯০৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১, ২০১৯
এডি/এবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।