ঢাকা, মঙ্গলবার, ৭ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ২১ মে ২০২৪, ১২ জিলকদ ১৪৪৫

শিক্ষা

সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে শাবিপ্রবি

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৭, ২০২০
সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে শাবিপ্রবি সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে শাবিপ্রবি। ছবি: বাংলানিউজ

আসন্ন তৃতীয় সমাবর্তন কেন্দ্র করে বর্ণিল সাজে সেজেছে সিলেটের শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) ক্যাম্পাস। বুধবার (৮ জানুয়ারি) বহুল প্রতীক্ষিত এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হবে।

সমাবর্তন ঘিরে পুরো ক্যাম্পাস সেজেছে বাহারি রঙে। ক্যাম্পাসের মূল ফটক, এককিলো, গোলচত্বর, বঙ্গবন্ধু চত্বর, চেতনা একাত্তর, বিভিন্ন একাডেমিক ভবন রঙ-বেরঙে সাজানো হয়েছে।

সংস্কার করা হয়েছে বিভিন্ন স্থাপনা, রাস্তাঘাট, সব বিভাগের করিডোর, কেন্দ্রীয় মিলনায়তন, আবাসিক হল, কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ও গাছগাছালি।

সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে শাবিপ্রবির চেতনা একাত্তর।                                          ছবি: বাংলানিউজ

এ সমাবর্তন ঘিরে উৎসাহ-উদ্দীপনাপূর্ণ আমেজের কমতি নেই শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও সমাবর্তন প্রত্যাশীদের মধ্যে। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক থেকে বিভিন্ন সড়কের পাশে বিভিন রঙের ব্যানার-ফেস্টুন, প্লেকার্ড ও নানান ডিজাইনের গেট ও বিভিন্ন তথ্যসংবলিত নির্দেশিকা টানানো হয়েছে, যা সমাবর্তনের আনন্দ বাড়িয়ে দিয়েছে কয়েকগুণ।

সমাবর্তন উপলক্ষে বর্ণিল সাজে সেজেছে শাবিপ্রবির বঙ্গবন্ধু চত্বর।  ছবি: বাংলানিউজ

সমাবর্তনে সভাপতিত্ব করবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য মো. আবদুল হামিদ। বক্তা হিসেবে থাকবেন লেখক ও কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম।

এবারের সমাবর্তনে মোট ৬ হাজার ৭৫০ শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেছেন। তাদের মধ্যে স্নাতক ৪ হাজার ৬১৭, স্নাতকোত্তর ১ হাজার ১২৭, পিএইচডি দু’জন, এমবিবিএস ৮৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ের ১২০ শিক্ষার্থী রয়েছেন।

২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেওয়া হবে। অন্যদিকে অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ শিক্ষার্থীকে দেওয়া হবে ‘ভাইস চ্যান্সেলর’ অ্যাওয়ার্ড।

এদিকে সমাবর্তন উপলক্ষে পুরো ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলোতে আরও ৫০টি অতিরিক্ত সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপন করা হয়েছে। এছাড়া নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থা, এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স), পুলিশসহ আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থানে রয়েছেন।

সমাবর্তনে রেজিস্ট্রেশন করা কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ২০০১-০২ সেশনের শিক্ষার্থী কুমরি গৌরব রায় বলেন, সমাবর্তনে অংশ নিতে এসে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করছি। দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পাসে এসে অনেক ভালো লাগছে। ক্যাম্পাস জীবনের স্মৃতিগুলো মনের মধ্যে বারবার নাড়া দিচ্ছে। আবারো পুরোনো বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে দেখা হওয়ায় পুরোনো দিনের কথা মনে পড়ছে। আশা করি, অনেক সুন্দর একটি দিন কাটবে।

উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ বাংলানিউজকে বলেন, সমাবর্তনের প্রস্তুতি প্রায় শেষ হয়েছে। আমরা অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছি রাষ্ট্রপতি ও গ্র্যাজুয়েটদের বরণ করে নিতে। সমাবর্তন কেন্দ্র করে আমাদের যা যা পরিকল্পনা ছিল তা বাস্তবায়ন হয়েছে। আশাকরি, সমাবর্তনে কোনো রকম ঘাটতি থাকবে না এবং শিক্ষার্থীদের সুন্দর একটি সমাবর্তন উপহার দিতে পারবো।

পরিশেষে সমাবর্তন সফলভাবে সম্পন্ন করার জন্য শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

বাংলাদেশ সময়: ১৪১৭ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৭, ২০২০
এফএম

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।