ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

শিক্ষা

শিক্ষার্থীরা নিজে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করলে বেকারত্ব দূর হবে

| বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০২২৬ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৯, ২০২০
শিক্ষার্থীরা নিজে নতুন ক্ষেত্র তৈরি করলে বেকারত্ব দূর হবে

সিলেট: শিক্ষার্থীদের সব সময় চাকরির মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকলে চলবে না, নিজেরাই চাকরির নতুন নতুন ক্ষেত্র তৈরি করতে হবে। তাতেই দেশের বেকারত্ব দূর করা সম্ভব হবে। গ্র্যাজুয়েটরা হচ্ছেন জাতির বাতিঘর। আপনাদের মেধা, শ্রম ও ভালোবাসায় তৈরি হয় জাতির তরুণ প্রজন্ম। তাই সাধারণ মানুষ আপনাদের উপর ভরসাও করে বেশি।

শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) অনুষ্ঠিত সমাবর্তনে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ এ মন্তব্য করেন।

বুধবার (৮ জানুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ প্রাঙ্গণে এ সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়।

সমাবর্তনে আমন্ত্রিত অতিথিরা আসনগ্রহণ শেষে সমাবর্তন উদ্বোধন করেন রাষ্ট্রপতি ও বিশ্ববিদ্যালয় আচার্য মো. আবদুল হামিদ ।

উদ্বোধন শেষে সমাবর্তনে স্বাগত বক্তব্য দেন শাবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ। এরপর গ্র্যাজুয়েট ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েটদের ডিগ্রি ও পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়া হয়। কৃতিত্বপূর্ণ ফলাফলের জন্য রাষ্ট্রপতি ও উপাচার্যের স্বর্ণপদক দেওয়া হয় শিক্ষার্থীদের।

বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য ও রাষ্ট্রপতি মো. আব্দুল হামিদ বলেন,  বর্তমানে আমাদের দেশের প্রবৃদ্ধির হার ৮ শতাংশ। আমাদের ধারণা ২০২৪ সাল নাগাদ এই হার ১০ শতাংশে পৌঁছাবে। বাংলাদেশ এখন পৃথিবীর বুকে শান্তিপূর্ণ ও উন্নয়নশীল দেশ। দারিদ্র্য নিরসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে উন্নয়নে বহির্বিশ্বে দেশটি এখন রোল মডেল।  

সমাবর্তনের বক্তা সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম বলেন, আমাদের দেশের শিক্ষাব্যবস্থা পাঠ্যসূচির মধ্যে সীমাবদ্ধ। শিক্ষার্থীদের একাডেমিকের বাইরে কারিগরি শিক্ষা খুবই কম। ফলে চাহিদা অনুযায়ী চাকরির সুযোগ কম। কারিগরি শিক্ষা না থাকায় দেশের কর্মক্ষেত্র সংকুচিত রয়েছে। তাই শিক্ষার্থীদের কর্মমুখী শিক্ষায় আরো বেশি উদ্বুদ্ধ করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, আমাদের শিক্ষার্থীরা চাকরিকেন্দ্রিক পড়াশোনায় ব্যস্ত হয়ে গেছে। চাকরি পাওয়ার এই আকুলতা বিদ্যাশিক্ষার উদ্দেশ্যকে ছাপিয়ে দিচ্ছে। আমাদের শিক্ষাব্যবস্থাকে বৈশ্বিক মানে পৌঁছে দিতে হলে শিক্ষার সঙ্গে সম্পর্কিত সব ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানকে অভিন্ন উদ্দেশ্যে কাজে নামতে হবে।

এবারের সমাবর্তনে মোট ছয় হাজার ৭শ ৫০ জন শিক্ষার্থী রেজিস্ট্রেশন করেন। এদের মধ্যে স্নাতকে চার হাজার ৬শ ১৭ জন, স্নাতকোত্তর এক হাজার ১২৭, পিএইচডি দু’জন, এমবিবিএস ৮শ ৭৮, এমএস ও এমডি ডিগ্রিধারী ছয়জন এবং নার্সিংয়ে ১শ ২০ জন শিক্ষার্থী রয়েছেন।

এছাড়া সমাবর্তন অনুষ্ঠানে ২০০১-০২ শিক্ষাবর্ষ থেকে ২০১০-১১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতকে সর্বোচ্চ ফলাফলধারী ১২ শিক্ষার্থী ও স্নাতকোত্তরে আট শিক্ষার্থীকে রাষ্ট্রপতি স্বর্ণপদক দেওয়া হয়। বিভিন্ন অনুষদে প্রথম হওয়া মোট ৮৯ জন শিক্ষার্থীকে দেওয়া হয় উপাচার্য অ্যাওয়ার্ড।

বাংলাদেশ সময়: ২১১৮ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৮, ২০২০
এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।