এদের মধ্যে তিনজনকে মঙ্গলবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
আহতরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্র ফাতাউর রাফি, ভূতত্ত্ব ও খনিবিদ্যা বিভাগের জাহিদ ওরফে জিদান ও ফারহান শাহরিয়ার।
আহতরা বাংলানিউজকে জানান, ঘটনার সময় তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে ছিলেন। ওই সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগের শিক্ষার্থী ও প্রতিপক্ষ গ্রুপের তাহমীদ জামান নাভিদের নেতৃত্বে বেশকিছু অজ্ঞাত যুবক বিকেলে তাদের ওপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে ফাতাউর রাফি, জাহিদ ওরফে জিদান মোর্শেন, ফরহান শাহরিয়ার ও উচ্ছাস আহত হন।
এসময় গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়লে খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন ঘটনাস্থলে এলে হামলাকারীরা পালিয়ে যায়। তবে ওই সময়ের মধ্যেই গোটা ক্যাম্পাসে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রক্টর ড. সুব্রত কুমার দাস বাংলানিউজকে জানান, আধিপত্য কিংবা ছাত্রলীগ-ছাত্রদলের কোনো বিষয় নেই এখানে। আবাসিক হলের সিটকে কেন্দ্র করে দু’টি সেশনের ছাত্রদের মধ্যে ঝামেলা। যে কারণে এ ঘটনা ঘটেছে। বর্তমানে ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে এবং এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
এদিকে ক্যাম্পাসের একটি সূত্র জানায়, আহত এবং হামলাকারীরা ক্যাম্পাস ছাত্রলীগের নেতা মহিউদ্দীন আহমেদ সিফাতের অনুসারী ছিলেন। কিন্তু সম্প্রতি সিফাতের সঙ্গে আহতদের দূরত্ব সৃষ্টি হলে দু’টি গ্রুপের সৃষ্টি হয়।
বাংলাদেশ সময়: ০৪২৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০
এমএস/এসআরএস