ঢাকা: গত ১৪ বছর ধরে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজে শিক্ষার্থীদের পোশাক সরবরাহ করে আসছেন একই ব্যক্তি। কারণ তিনিই প্রতিবছর টেন্ডার পেয়ে থাকেন।
কমিশনের পক্ষ থেকে ভিকারুননিসার অধ্যক্ষ ও সরবরাহকারী ব্যক্তিকে তলব করা হয়েছে।
নগরীর অন্যতম শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজ। ঢাকায় প্রতিষ্ঠানটির চারটি শাখায় মোট ছাত্রীর সংখ্যা ২৫ হাজার। প্রত্যেকের প্রাতিষ্ঠানিক পোশাক স্কুল থেকে কেনা বাধ্যতামূলক।
পোশাকের দাম বাবদ প্রত্যেক ছাত্রীর কাছ থেকে নেওয়া হয় দুই হাজার টাকা।
জানা গেছে, মেসার্স চৌধুরী এন্টারপ্রাইজের মালিক মো. ইব্রাহিম মোল্লা ১৪ বছর ধরে ভিকারুননিসায় পোশাক সরবরাহের টেন্ডার পাচ্ছেন। সম্প্রতি বিষয়টি নজরে আসে কমিশনের। যোগসাজসের মাধ্যমে চুক্তিবদ্ধ হয়ে প্রতিযোগিতার ক্ষেত্রে বিরুপ প্রভাব সৃষ্টি করার অভিযোগ তোলা হয়েছে ভিকারুননিসা কর্তৃপক্ষ ও সরবরাহকারীর বিরুদ্ধে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের পক্ষ থেকে গত ৭ অক্টোবর জরুরি চিঠি দিয়ে প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ এবং পোশাক সরবরাহকারী মো. ইব্রাহিম মোল্লাকে তলব করা হয়েছে। এই ইব্রাহিম মোল্লার বাড়ি ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায়। তিনি ২০০৪ সাল থেকে ভিকারুননিসায় পোশাক সরবরাহ করে আসছেন।
সোমবার (১২ অক্টোবর) নগরীর ইস্কাটনে বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনে শুনানির জন্য সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছে। কমিশনের চেয়ারপার্সনসহ ফুল কমিশন শুনানিতে উপস্থিত থাকবে। টেন্ডার প্রক্রিয়ায় অনিয়ম ধরা পড়লে ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের অধ্যক্ষ ও সরবরাহকারী মো. ইব্রাহিম মোল্লার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বার্ষিক টার্ন ওভারের ১০ শতাংশসহ লাভের তিনগুণ অর্থদণ্ড হতে পারে প্রতিষ্ঠান দুটির বিরুদ্ধে। আবার প্রয়োজনীয় উপদেশও দেওয়া হতে পারে।
অভিভাবকদের দাবি, প্রত্যেক শিক্ষার্থীর কাছ থেকে এক সেট ড্রেস বাবদ দুই হাজার টাকা আদায় করা হয়। কিন্তু বাইরে একই মানের ড্রেসের দাম মাত্র ৫০০ থেকে ৬০০ টাকা।
বাংলাদেশ প্রতিযোগিতা কমিশনের চেয়ারপার্সন মোহাম্মদ মফিজুল ইসলাম বাংলানিউজকে বলেন, “একই ব্যক্তি ১৪ বছর ধরে ভিকারুননিসায় পোশাক সরবরাহ করে আসছেন। এখানে টেন্ডার প্রক্রিয়া নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। সোমবার শুনারি জন্য সংশ্লিষ্টদের ডাকা হয়েছে। আমাদের ফুল কমিশন শুনানিতে উপস্থিত থাকবেন। আমরা শুনানিতে বিষয়টি খতিয়ে দেখবো। আইনের ব্যত্যয় হলে অর্থদণ্ড হতে পারে। ”
বাংলাদেশ সময়: ২০২৬ ঘণ্টা, অক্টোবর ১১, ২০২০
এমআইএস/এজে