ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ০৮ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

জাবির বন্ধ হলে মাদকের আসর, ইয়াবা উদ্ধার

জাবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৪০ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
জাবির বন্ধ হলে মাদকের আসর, ইয়াবা উদ্ধার

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি): জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের আল বেরুনী হলের একটি কক্ষ থেকে দু’জন কর্মচারী আটক করা হয়েছে। এ সময় ওই কক্ষ থেকে দুই পিস ইয়াবা ও ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৯ অক্টোবর) বিশ্ববিদ্যালয়ের হলের প্রাধ্যক্ষ সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল আলম অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করেন।

আটক দু’জন হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের ল্যাব অ্যাটেন্ডডেন্ট আব্দুল খালেক ও শেখ হাসিনা হলের অর্ডারলি পিয়ন জাহিদুল ইসলাম।

হলটির প্রাধ্যক্ষ ও পরিসংখ্যান বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক আশরাফুল আলম জানান, ‘ওই দু’জনকে আটক করার পর তারা জানান হলের গার্ড দেলোওয়ার হোসন তাদের হলে নিয়ে আসছে। এরপর জানতে পারি গার্ড দেলোয়ার কাউকে না জানিয়ে বাবুর্চিদের কক্ষটির তালা পরিবর্তন করে গত দুইমাস ধরে ইচ্ছা মতো কক্ষটি ব্যবহার করে আসছিল। ’

তিনি বলেন, ‘গত দুইমাস ধরে আমি বিভিন্ন জনের কাছে খবর পাই ওই কক্ষটিতে প্রায়ই মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। তার ভিত্তিতে সোমবার সন্ধ্যায় হলের সিকবয়কে নিয়ে ওই কক্ষে গেলে দু’জনকে বের হয়ে যেতে দেখি। পরে তাদের আটক করি এবং নাম-পরিচয় জানতে চাই। এ সময় কক্ষটিতে তল্লাশি করলে দু’টি ইয়াবা ও ইয়াবা খাওয়ার সরঞ্জাম পাই। কিন্তু তল্লাশি করার সময় ওই দু’জন পালিয়ে যান। ’

তিনি আরও বলেন, ‘গার্ড দেলোয়ারকে তালা পরিবর্তন ও বন্ধ হলে অন্য কর্মচারীদের নিয়ে আসার বিষয়ে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি কোনো উপযুক্ত উত্তর দিতে পারেনি। তাই আমি আগামীকাল হলের মিটিং ডেকেছি। মিটিংয়ের সিদ্ধান্তের আলোকে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা হয়েছে, ওনারা আমাকে প্রয়োজনীয় আলামত ও লিখিতভাবে অভিযোগ জমা দিতে বলেছেন।
বুধবার (২১ অক্টোবর) যেহেতু ক্যাম্পাস খোলা। আমরা এগুলো প্রস্তুত করে জমা দিয়ে দেব। পাশাপাশি শেখ হাসিনা হলের প্রভোস্ট ও পদার্থ বিজ্ঞান বিভাগের সভাপতির কাছেও পাঠাবো। আশা করি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত নিয়মে ব্যবস্থা নেবে। ’

এবিষয়ে হলটির গার্ড দেলোয়ার হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সোমবার বিকেল থেকে আমি হলে ছিলাম না। ওই কক্ষটির চাবি একটি দোকানে রেখে আমি ইসলামনগর বাজারে যাই। তখন খালেক ও জাহিদ আমাকে ফোন দিয়ে বলে তাদের কাজ আছে একটু চাবি দিতে। পরে তারা চাবি নিয়ে কক্ষে প্রবেশ করে। এরপর নাকি প্রভোস্ট স্যার তল্লাশি করে ইয়াবা পাইছে। এ বিষয়ে আমি আর কিছু জানি না। ’

কক্ষটির তালা পরিবর্তনের বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আগের তালা নষ্ট হয়ে গেছে তাই এ তালা আমি পরিবর্তন করেছি। ’

এদিকে অভিযুক্ত আব্দুল খালেক ও জাহিদুল ইসলামের বক্তব্য জানতে তাদের মোবাইল নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তারা রিসিভ করেননি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৩৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ২০, ২০২০
আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।