ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতি ২০২১ সালের কার্যকর পরিষদ নির্বাচনে পাঁচ গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে আওয়ামীপন্থি শিক্ষকদের সংগঠন নীল দল।
মঙ্গলবার (১৫ ডিসেম্বর) নীল দলের অভ্যন্তরীণ সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
চূড়ান্ত প্রার্থীরা হলেন- সভাপতি পদে আইন অনুষদের ডিন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ, সহ-সভাপতি পদে অণুজীব বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. সাবিতা রিজওয়ানা রহমান, সাধারণ সম্পাদক পদে হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলের প্রাধ্যক্ষ অধ্যাপক নিজামুল হক ভূইয়া, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক পদে ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর ড. আবদুর রহিম, কোষাধ্যক্ষ পদে ম্যানেজমেন্ট ইনফরমেশন সিস্টেমস বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মো. আকরাম হোসেন।
নীল দলের একাধিক সদস্য বাংলানিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। সভা সূত্রে জানা যায়, প্রার্থী চূড়ান্ত করার সভার সদস্য ছিলেন নীল দলের প্রতিটি ইউনিটের আহ্বায়ক, যুগ্ম-আহ্বায়ক, সব নির্বাচিত ডিন, সিন্ডিকেট সদস্য, নীল দলের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক ও যুগ্ম-আহ্বয়করা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নীল দলের যুগ্ম-আহ্বায়ক ড. আবদুর রহিম বলেন, পাঁচটি পদে প্রার্থিতা চূড়ান্ত করা হয়েছে। সদস্য পদে ১০ জন পরবর্তী সভায় ঠিক করা হবে।
আগামী ৩০ ডিসেম্বর অনুষ্ঠেয় নির্বাচনে পরিচালকের দায়িত্ব পালন করবেন মার্কেটিং বিভাগের অধ্যাপক জাকির হোসেন ভূইয়া।
গত ৭ ডিসেম্বর নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণা করে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ৩০ ডিসেম্বর সকাল দশটা থেকে বিকেল আড়াইটা পর্যন্ত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্লাব ভবনে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করা যাবে ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। আগামী ১৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়নপত্র বাছাই, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ও প্রার্থীদের চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশ ২০ ডিসেম্বরের মধ্যে সম্পন্ন হবে।
নীল দলের সভাপতি পদের প্রার্থী অধ্যাপক ড. রহমত উল্লাহ বলেন, শিক্ষক সমিতি নির্বাচনে টানা নীল দলের শিক্ষকরা জয় লাভ করেছে। শিক্ষকদের অধিকার রক্ষায় ভূমিকা পালন করেছে। আমি আশা করবো, এবারও সমিতির সদস্যরা নীল দলের প্যানেলকে ভোট দিয়ে জয়ী করবে।
সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, এবার নির্বাচন নিয়ে শিক্ষক সমিতিতে থাকা নীল দলের প্রতনিধিদের মধ্যে দু’টি অভিমত আসে। একটি অংশ চেয়েছিল করোনা পরিস্থিতিতে বর্তমিান কমিটি দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু অন্য একটি অংশ যারা গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চায় তারা গঠনতন্ত্রের বাধ্যবাধকতা এনে নতুন নির্বাচনের দাবি তোলে। পরবর্তীতে শিক্ষক সমিতি থেকে দুই দলের মতামত নেওয়া হয়। সেখানে নীল দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ এবং সাদা দল নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার পক্ষে মতামত দেয়।
এ বিষয়ে সাদা দলের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম বলেন, আমরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার কথা বলেছি। কারণ ক্যাম্পাসের একাডেমিক কার্যক্রম এখনও সচল হয়নি সরাসরিভাবে। অনলাইনে ক্লাস নেওয়া হচ্ছে। শিক্ষকদের বড় একটি অংশ ক্যাম্পাসের বাইরে থাকেন। তাদের ক্যাম্পাসে এনে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে আমরা ফেলতে চাই না। যেখানে ডাকসু ইলেকশন বন্ধ রয়েছে সেখানে শিক্ষক সমিতির ইলেকশন করা যৌক্তিক মনে করছে না সাদা দল।
বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৫ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৫, ২০২০
এসকেবি/ওএইচ/