এ যেন মানবসন্তানের জন্য প্রকৃত মানুষ ও মানবসম্পদ হয়ে ওঠার এক অরণ্য। একদিকে প্রকৃতির হাজার আয়োজন, অন্যদিকে পরিচ্ছন্ন ও সুশৃঙ্খল পরিবেশে শ্রেণীকক্ষ ও তার বাইরে পাঠদানের মধ্য দিয়ে দেশের যুবসমাজকে যুবশক্তিতে আর সম্পদে রুপান্তরের প্রাণান্তকর চেষ্টা।
ইংরেজিতে দক্ষতা আছে কিন্তু চাকরি নেই, এমন ঘটনা বিরল। দেশে বা বিদেশে এমন একটি প্রতিষ্ঠানও খুঁজে পাওয়া যায় না যেখানে ইংরেজিতে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন গ্র্যাজুয়েটের চাহিদা নেই। ইংরেজিতে দক্ষ গ্র্যাজুয়েটরা দেশ-বিদেশের বিভিন্ন সরকারি, বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে স্ব-মহিমায় কাজ করে যাচ্ছে। একবিংশ শতাব্দীর বৈচিত্র্যময় শ্রমবাজারে ইংরেজি ভাষার উপর দক্ষতার কদর বলাই বাহুল্য। বাস্তবিক এই প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে যুগোপযোগী সিলেবাস প্রণয়ন ও ইংরেজি ভাষা ও সাহিত্য কে এক সূতোয় গেঁথে শুরু হয়েছে ইংরেজি বিষয়ে পাঠদান। ইউজিসি কর্তৃক অনুমোদিত এই বিভাগ এক দিকে ইংরেজি ভাষায় লেখা, বলা ও পড়ার দক্ষতা তৈরি করে; অন্যদিকে সাহিত্যের নানা উপাদান (কবিতা, গল্প, উপন্যাস) এর রস আস্বাদন করিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মূল্যবোধ এর বিকাশ ঘটায় যা কিনা একজন শিক্ষার্থীকে মানবিক মানবসম্পদে পরিণত করে।
১. বৃত্তি
মেধাবী শিক্ষার্থীদের শিক্ষার সুযোগ সৃষ্টির লক্ষ্যে বিভিন্ন বৃত্তির সুযোগ দিচ্ছে গার্ডেন ক্যাম্পাস খ্যাত এ বিশ্ববিদ্যালয়টি। প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর ড. এম আলিমউল্যা মিয়ান বৃত্তির মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা বিনা খরচে পড়ার সুযোগ পাচ্ছে স্বনামধন্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ে। এছাড়াও এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে ১০০ শতাংশ পর্যন্ত মেধা বৃত্তি, মেয়েদের উচ্চ শিক্ষায় উৎসাহিত করতে ১৫ শতাংশ স্পেশাল বৃত্তিসহ বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ৫৭টি বৃত্তি দেয়া হয়। অন্যান্য বৃত্তি সুবিধার পাশাপাশি ইংরেজি বিভাগ এর শিক্ষার্থীদের জন্যে রয়েছে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ বৃত্তি।
২. শিক্ষা ঋণ
আইইউবিএটি দেশের একমাত্র বিশ্ববিদ্যালয় যে শিক্ষা ঋণ দিয়ে থাকে। ‘যোগ্যতাসম্পন্ন প্রত্যেক ব্যক্তির জন্য উচ্চ শিক্ষার নিশ্চয়তা – প্রয়োজনে মেধাবী তবে অস্বচ্ছলদের জন্য অর্থায়ন’ এই প্রত্যয়টি বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে আইইউবিএটি প্রতিটি শিক্ষার্থীর উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের স্বপ্ন পূরন করে থাকে। শিক্ষার্থীরা তাদের শিক্ষাজীবন শেষ করে, কর্মজীবনে প্রবেশ করেও তাদের শিক্ষার খরচ পরিশোধ করার সুবিধা পায়। এতে করে কোনো মেধাবী শিক্ষার্থীর পড়াশোনা খরচের অভাবে থেমে থাকেনা। এই অনন্য এবং মানবিক সুবিধাটি চালু করেছিলেন এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাতা উপাচার্য স্বপ্নদর্শী অধ্যাপক ডক্টর আলিমুল্লাহ মিয়ান। তিনি দেশের প্রতিটি গ্রাম থেকে একজন করে গ্র্যাজুয়েট তৈরি করার মধ্যে দিয়ে মানবসম্পদ উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে এই বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। কোন শিক্ষার্থীর জীবন যেন আর্থিক প্রতিবন্ধকতার জন্যে থেমে না যায়, সে জন্যেই এই শিক্ষা ঋণ এর ব্যবস্থা।
সাশ্রয়ী খরচ – সাধ্যের মধ্যে উচ্চশিক্ষা
দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটকে মাথায় রেখে ইংরেজি বিভাগের পড়াশোনার ফিস নির্ধারণ করা হয়েছে যা সাধ্যের মধ্যেই রয়েছে, এছাড়াও শিক্ষার্থীদের পারবারিক আর্থিক অবস্থা বিবেচনায় আইইউবিএটি বৃত্তি প্রদান ও শিক্ষা ঋণ প্রদানের মধ্যে দিয়ে সবার জন্যেই অধ্যয়নের সুযোগ নিশ্চিত করে থাকে তাই ব্যয়ভার কোন প্রতিবন্ধকতা হয়ে দাঁড়ায় না। শিক্ষার্থীদের টিউশন ফিস নির্ভর করে তাদের এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফল এর উপর।
আইইউবিএটিতে ইংরেজি কেন পড়বেন
ছয় একর জায়গা জুড়ে স্থায়ী ক্যাম্পাস, সাধ্যের মধ্যে উচ্চশিক্ষা, বৃত্তি ও শিক্ষা ঋণ সুবিধা, অসংখ্য সহজলভ্য ডিজিটাল ও অনলাইন শিক্ষা উপাদান, দেশ-বিদেশের অভিজ্ঞ শিক্ষক দ্বারা পাঠদান, বিশ্বের ১০১ টি বিশ্ববিদ্যালয় এর সাথে শিক্ষা বিনিময় চুক্তি ,সুসজ্জিত শ্রেণীকক্ষ,বিনামুল্যে পরিবহন ব্যবস্থা,শিক্ষা বীমা,পেশাদার কাউন্সেলিং , ইংরেজিতে পাঠদান,শিক্ষার্থীদের পোশাক ও আচরণে পেশাদারিত্ব নিশ্চিতকরণ ছাড়াও রয়েছে মুডল (Moodle) লার্নিং প্ল্যাটফর্মের ব্যবহার
ইনডোর-আউটডোর স্পোর্টস
ইংলিশ লার্নিং সেন্টার
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান নিয়োগ দেওয়ার সময় একুশ শতকের স্নাতকদের মধ্যে যোগাযোগের দক্ষতাকে সর্বাধিক কার্যকর দক্ষতার মধ্যে একটি হিসাবে বিবেচনা করে। তাই যেসব শিক্ষার্থী ইংরেজিতে বলা, লেখা, শোনা ও পড়ায় পারদর্শী, তারা অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে অগ্রাধিকার পায়। শিক্ষার্থীদের ইংরেজি ভাষার দক্ষতা বৃদ্ধি করার লক্ষ্যে, অন্যান্য সাধারন ইংরেজি বিষয়ের পাশাপাশি, অত্র বিশ্ববিদ্যালয়ের সাম্মানিত ডিরেক্টর এডমিনিস্ট্রেশন-এর উদ্যোগে আইইউবিএটি ইংলিশ লার্নিং সেন্টার (ELC) প্রতিষ্ঠা করেছে। এই সেন্টারটির মাধ্যমে এখানে ইংরেজি ভাষার সকল স্কিলস এর উপর চর্চা করানো হয়। কেন্দ্রটি আধুনিক প্রযুক্তিতে সজ্জিত রয়েছে । এর মধ্য দিয়ে শিক্ষার্থীদের একটি “ভাষা-ল্যাবরেটরি”-র অভাব পূরন হয়েছে। সেন্টারটিতে রয়েছে প্রতিটি শিক্ষার্থীর জন্যে একটি করে কম্পিউটার, শ্রবণ দক্ষতা চর্চার জন্যে সাউন্ড ডিভাইস, মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর ও সাউন্ড সিস্টেম, ও ডিজিটাল শিক্ষা উপকরন। এখানে শিক্ষার্থীরা IELTS ও সমমানের দক্ষতা যাচাই মূল্যায়ন পদ্ধতির সাথে পরিচিত হয়ে থাকে।
শ্রম বাজার
আন্তর্জাতিক ভাষা হওয়ার দরুন ইংরেজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশসহ সারাবিশ্বে। বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি, দূতাবাস ও বিদেশে চাকরি নেওয়ার ক্ষেত্রে ইংরেজি একটি অপরিহার্য ভাষা। বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজির চাহিদা সর্বজনস্বীকৃত। শিক্ষার্থীদের অনেকেরই অজানা যে ইংরেজিতে স্নাতকধারীদের জন্যে শ্রম বাজার কত বিশাল।
দেশ-বিদেশের বিভিন্ন প্রতিস্থানে যেসব চাকরির সুযোগ রয়েছে তার মধ্যে উল্লেখযোগ্যঃ
স্থানীয় শ্রম বাজার
শিক্ষকতা, বিশেষ করে সরকাররি ও বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে, বিসিএস ক্যাডার/বিসিএস নন-ক্যাডার ,প্রশাসনিক অফিসার ,পাবলিক রিলেশন অফিসার এবং জুনিয়র অফিসার (কর্পোরেট সেক্টরে)
,পাবলিক রিলেশন অফিসার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার এবং ফ্রন্ট-ডেস্ক অফিসার (বিদেশী দূতাবাসগুলিতে),পাবলিক রিলেশন অফিসার, অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার ও জুনিয়র অফিসার (সরকারি/আধা-সরকারি অফিস)
,স্ক্রিপ্ট-লেখক, কন্টেন্ট ডেভেলাপার, কনসেপ্ট জেনারেটর, ডায়ালগ রাইটার ও সম্পাদক (বিজ্ঞাপন জগত),রিপোর্টার, লেখক এবং উপ-সম্পাদক (প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিক মিডিয়া), ফ্রিল্যান্সিং (আউটসোর্সিং) লেখক ,লেখক এবং উপ-সম্পাদক (প্রকাশনা সংস্থা)
সিলেবাস
শিক্ষার্থীরা যেসব বিষয়ে পড়াশোনা করবে তা মুলত বিভিন্ন ভাগে ভাগ করা হয়েছেঃ সাধারন শিক্ষা বিষয়ক পাঠ্যক্রম, যেমন ইতিহাস, মনোবিজ্ঞান ইত্যাদি, মূল কোর্স (ভাষা ও সাহিত্য বিষয়ক যেমন ভিক্টোরিয়ান সাহিত্য, ভাষাবিজ্ঞানের পরিচিতি, ডিসকোর্স এনালাইসিস ইত্যাদি; ও ঐচ্ছিক বিষয়, যেমন বাংলা সাহিত্য
বাংলাদেশ সময়: ০২০১ ঘণ্টা, জানুযারি ০৮, ২০২১
এমএমএস