ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য লটারিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন

স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য লটারিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন

ঢাকা: কোভিড-১৯ মহামারির কারণে সরকারি মাধ্যমিক বিদ্যালয়গুলোতে বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব না হওয়ায় প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির জন্য লটারি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
 
সোমবার (১১ জানুয়ারি) বিকেলে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউটে শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি অনলাইনে যুক্ত হয়ে এই কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন।


 
দেশের ৩৯০টি সরকারি স্কুলে ৫ লাখ ৭৪ হাজার ৯২৯ জন আবেদনকারীর মধ্য থেকে সারাদেশে মোট ৭৭ হাজার ১৪০টি শূন্য আসনের বিপরীতে ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে নির্বাচন করা হয়।
 
শিক্ষামন্ত্রীর অনুমতিতে আজিমপুর সরকারি গার্লস স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী রাদিয়া আনহু তানহার হাতে কম্পিউটারের মাউসে ক্লিক করে ডিজিটাল লটারি উদ্বোধন হয়। এর সঙ্গে সফটওয়্যার শিক্ষার্থী বাছাই শুরু করে। সফটওয়্যারে শিক্ষার্থী নির্বাচন সম্পন্ন হয়।
 
সরকারি স্কুলে ভর্তির জন্য নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের তালিকা http://gsa.teletalk.com.bd পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা এমএ খায়ের।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, এই প্রক্রিয়ার একটি ভালো দিক হলো সব স্কুলে এবার নানা ধরনের মেধাসম্পন্ন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পাবে।
 
ডিজিটাল লটারির সার্বিক কারিগরি সহায়তার কাজ করেছে টেলিটক ও টেলিটকের সফটওয়্যারের যথার্থতা যাচাই-বাছাই করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল।
 
সরকারি স্কুলের আগে বেসরকারি স্কুল এবং সম্প্রতি জাতীয়করণ করা স্কুল স্থানীয়ভাবে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করে ভর্তির কাজ লটারির মাধ্যমে সম্পন্ন করছে।
 
গত ১৫ ডিসেম্বর ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের আবেদন প্রক্রিয়া শুরু হয় এবং ৭ জানুয়ারি শেষ হয়। আবেদনগুলো ভর্তির লক্ষ্যে শ্রেণিভিত্তিক বণ্টন কার্যক্রমে ডিজিটাল লটারি পদ্ধতি অবলম্বন করা হয়।
 
শিক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, লটারিতে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় সরকারি নিয়মে ভর্তি নীতিমালা অনুসরণ করা হয়েছে। নীতিমালা অনুযায়ী, সাধারণ, ক্যাচমেন্ট, মুক্তিযোদ্ধা, পোষ্য কোটা, অক্ষম (প্রতিবন্ধী), সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কোটাসহ নিয়মানুযায়ী সব কোটা বিবেচনা করা হয়েছে। শূন্য আসন থাকা সাপেক্ষে এবং প্রার্থীর নিজ নিজ ক্ষেত্রে ক্লাস, শিফট ও পছন্দের ক্রমানুযায়ী বাছাই প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়।
 
ডিজিটাল অনলাইন লটারি কার্যক্রমে সফটওয়্যারের মাধ্যমে র‌্যানডম পদ্ধতিতে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন করা হয়।
 
এছাড়াও চূড়ান্ত ফলাফলের পাশাপাশি একটি অপেক্ষমাণ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
 
ঢাকা বিভাগে এক লাখ ৬৬৭ হাজার ৬১০ জন, চট্টগ্রামে ১ লাখ ৩৩ হাজার ৫৫৮ জন, বরিশালে ১৬ হাজার ২৮৭ জন, রাজশাহীতে ৭০ হাজার ৮১২ জন, ময়মনসিংহে ৪৯ হাজার ৬০ জন, খুলনায় ৪৩ হাজার ৫০৬ জন, সিলেটে ২৪ হাজার ৫৭৩ জন শিক্ষার্থী আবেদন করে।
 
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শিক্ষামন্ত্রী জানান, স্কুলগুলোতে যেহেতু বার্ষিক পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয়নি সেহেতু সরকারিভাবে আমরা এবছর লটারির মাধ্যমে প্রথম শ্রেণি থেকে নবম শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থী ভর্তির সিদ্ধান্ত নিয়েছি। ডিজিটাল অনলাইন লটারি প্রক্রিয়ায় মাধ্যমে ছাত্রছাত্রী নির্বাচন কার্যক্রমে শতভাগ স্বচ্ছতা নিশ্চিত করা হয়েছে।
 
অনুষ্ঠানে শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন উপস্থিত ছিলেন। মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক প্রফেসর ড. সৈয়দ মো. গোলাম ফারুক সভাপতিত্ব করেন।
 
বাংলাদেশ সময়: ১৯৩০ ঘণ্টা, জানুয়ারি ১১, ২০২১
এমআইএইচ/এএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।