ঢাকা: উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা পাসের পর প্রশ্ন আসে উচ্চশিক্ষার। উচ্চ মাধ্যমিকে বিভিন্ন বিভাগ থেকে উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়, মেডিক্যাল কলেজ অথবা প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি যুদ্ধে অবতীর্ণ হয়।
করোনা ভাইরাস মহামারীতে পরীক্ষা ছাড়াই আগের দুই পাবলিক পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে ২০২০ সালের এইচএসসি ও সমমানের মূল্যায়নে সবাইকে পাস করিয়ে শনিবার (৩০ জানুয়ারি) ফল প্রকাশ হয়। এতে জিপিএ-৫ পেয়েছেন দেড় লক্ষাধিক শিক্ষার্থী। মোট পাস করেছেন ১৩ লাখ ৬৭ হাজার ৩৭৭ জন।
দেশে উচ্চশিক্ষায় সীমিত সংখ্যক মানসম্পন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থাকায় প্রতিষ্ঠানগুলোতে ভর্তির চাপও থাকে বেশি। শিক্ষার্থীর তুলনায় আসন সংখ্যা বহুগুণ কম। এবার তাতে চাপ পড়বে আরও বেশি। ফলে আশঙ্কা করা হচ্ছে অনেক শিক্ষার্থীই বঞ্চিত হবেন উচ্চ শিক্ষা থেকে। তবে এক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের কারিগরি শিক্ষার দিকে নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি।
সকালে রাজধানীর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইন্সটিটিউটে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের পর তিনি বলেন, স্বাভাবিকভাবেই সকল শিক্ষার্থীকে একটি পরীক্ষার মধ্য দিয়ে উচ্চশিক্ষার জন্য ভর্তি হতে হবে।
তিনি বলেন, যেহেতু এবার সকলেই পাস করেছেন, সেখানে হয়তো আমাদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র সকলের জন্য সেভাবে সম্ভব হবে না। আমাদের সবাই যে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়বেন তাও তো নয়।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, আমাদের আরও নানান রকম, কারিগরি শিক্ষার আরও অনেক জায়গা আছে। যেখানে শিক্ষার্থীদের জায়গা খালি থাকে কিন্তু আমরা শিক্ষার্থী পাই না। এবার আশা করি যে তারা সেদিকে যেতেও অনেকে উদ্বুদ্ধ হবেন। সেটা তাদের জন্যও যেমন ভালো, দেশের জন্যও ভালো।
বাংলাদেশ সময়: ১৪১৪ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩০, ২০২১
এইচএমএস/কেএআর