জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যলয়: জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ১৯ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য রয়েছে একটি মাত্র খেলার মাঠ। সেই মাঠ খেলার উপযোগী নয়, মাঠের দিকে নজরও নেই প্রশাসনের।
বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস থেকে প্রায় ২ কি.মি. দূরে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের খেলার মাঠ (ধূপখোলা মাঠ)। সরজমিনে গিয়ে দেখা যায় মাঠের ভেতরে অসংখ্য ইটের টুকরো ও পাথর পড়ে আছে। চারপাশ ছেয়ে আছে নানা আবর্জনায়।
শিক্ষার্থীরা বলছেন খেলার উপযোগী নয় এই মাঠ। তবে আন্তঃবিশ্ববিদ্যালয়ের নানান খেলা এলেই তোরজোড় করে চলে মাঠ সংস্কারের অভিযান।
ধূপখোলা মাঠটি ডিএসসিসির ৪৫ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাধীন। ডিস্টিলারি রোড, দীননাথ সেন রোড, কেশব ব্যানার্জি রোড, শশীভূষণ চ্যাটার্জি লেন, রজনী চৌধুরী রোড, সাবেক শরাফতগঞ্জ লেন, সত্যেন্দ্র কুমার দাস রোড এলাকা নিয়ে এই ওয়ার্ড গঠিত। প্রায় সাত একর আয়তনের ধূপখোলা মাঠটি তিন ভাগে ভাগ করা। এর একটি অংশ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ। বাকি দুটি অংশ ইস্ট অ্যান্ড ক্লাব মাঠ ও স্থানীয় খেলার মাঠ। নানান সময় খেলতে গিয়ে আহত হয়েছে অনেক শিক্ষার্থী। ঈদের সময় এলেই সেখানে বসে গরুর হাট। এছাড়াও হয় ওয়াজ মাহফিলসহ নানান আয়োজন।
এ বিষয়ে বাংলা বিভাগের শিক্ষার্থী শিবলি নোমান বলেন, মাঠে কোনো ঘাস নেই। খেলতে গেলে ভয় লাগে। মাঠের খোয়া অথবা পাথরে লেগে দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। এছাড়া বহিরাগতের কারণে মাঠে জায়গা পাওয়া যায় না।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী পরিচালক গৌতম কুমার দাশ বলেন, মাঠ নিয়ে আমার পরিকল্পনা আছে। অব্যবহৃত জায়গায় অফিস করা, মাঠে ঘাস লাগানো, নিরাপদ পানির ব্যাবস্থা করা, ড্রেসিং রুমের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি।
শারীরিক শিক্ষা কেন্দ্রের সহকারী রেজিস্টার আব্দুল কাদের বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় বাজেট দিলে আমরা কাজ করতে প্রস্তুত।
এ বিষয়ে ক্রীড়া কমিটির আহ্বায়ক ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. কামালউদ্দিন আহমেদ বলেন, আমাদের নতুন কমিটির এখনো কোনো মিটিং হয়নি। সামনে মিটিং হলে এ বিষয়ে জানানো হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৭০৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ০২, ২০২১
এমজেএফ