ঢাকা, মঙ্গলবার, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

বন্ধ ক্যাম্পাসে সান্ধ্য কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা!

ইবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৪ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
বন্ধ ক্যাম্পাসে সান্ধ্য কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা! ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষা। ছবি: বাংলানিউজ

ইবি: করোনাকালীন বন্ধ ক্যাম্পাসে সান্ধ্যকালীন কোর্সের ভর্তি পরীক্ষা নিয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আইন বিভাগ। একইসঙ্গে সান্ধ্যকালীন কোর্সের আগের দুটি ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়েছে বিভাগটি।

শুক্রবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বিশ্ববিদ্যালয়ের মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনে এসব পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। তবে এসব পরীক্ষায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কোনো অনুমতি ছিল না বলে জানা গেছে।

বিভাগ সূত্রে জানা যায়, সকাল ১১টা থেকে মীর মশাররফ হোসেন একাডেমিক ভবনের ৩১৬ ও ৩১৭ নম্বর কক্ষে শুরু হয় নবম ব্যাচের ভর্তি পরীক্ষা। দুপুর ১২টার দিকে শেষ হয় ভর্তি পরীক্ষা। ভর্তি পরীক্ষায় মোট ৫৯ জন শিক্ষার্থী অংশ নেন।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার সঙ্গে সঙ্গে সান্ধ্যকালীন কোর্সেরও দুটি ব্যাচের চূড়ান্ত পরীক্ষা নেয় বিভাগটি। ওই ভবনেই সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হয় হিউমেন রাইটস বিষয়ের চূড়ান্ত পরীক্ষা। পরে আবার দুপুর ২টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত আরো একটি পরীক্ষা হয়। পরীক্ষায় আনুমানিক ৮০ জন উপস্থিত হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, করোনার কারণে সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মতো ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ও বন্ধ রয়েছে। তবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের অনুমতি সাপেক্ষে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন অনার্স চূড়ান্ত বর্ষ এবং মাস্টার্স পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি দেয়। ফলে অনার্স ৪র্থ বর্ষ ও মাস্টার্সের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিচ্ছে বিভাগগুলো।

তবে সান্ধ্যকালীন কোর্সের পরীক্ষা নেওয়ার অনুমতি বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। ফলে অনার্সের তিনটি বর্ষের মতো সান্ধ্যকালীন কোর্সের পরীক্ষাও বন্ধ রয়েছে। তবে প্রশাসনের অনুমতি ছাড়াই আইন বিভাগ সান্ধ্যকালীন কোর্সের এসব পরীক্ষা নিয়েছে বলে জানা গেছে।

এ বিষয়ে আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সাজ্জাদুর রহমান টিটু বাংলানিউজকে বলেন, ‘পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক স্যার আমাকে জানালে আমি বিভাগের যাই। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের অনুমতি আছে কিনা এ সম্পর্কে আহ্বায়ক স্যারই ভালো বলতে পারেন। আমি কিছু বলতে পারবো না। ’

প্রশাসনের অনুমতির ব্যাপারে পরীক্ষা কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. জহুরুল ইসলামের মোবাইলে একাধিকবার কল করলেও তিনি ধরেননি। এমনকি পরীক্ষা কমিটির সদস্য সহযোগী অধ্যাপক ড. মাহবুব বিন শাহজাহানের মোবাইলে কল দিলে তিনিও ধরেননি।

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আব্দুস সালাম বাংলানিউজকে বলেন, বিভাগের শিক্ষকরা আমাকে কিছু জানায়নি চুপিচুপি তারা এ কাজটা করেছে। বিষয়টি শুনে সঙ্গে সঙ্গে প্রক্টরকে পাঠিয়ে পরীক্ষা বন্ধ করতে বলেছি। যেখানে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সবকিছুই বন্ধ সেখানে সান্ধ্যকোর্সের পরীক্ষা কিভাবে নেয় তারা। আমি ঢাকার বাইরে আছি কাল (শনিবার) এসে বিষয়টা নিয়ে বসবো।

বাংলাদেশ সময়: ২০১২ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।