ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে খুবিতে শোভাযাত্রা 

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
কৃষিবিদ দিবস উপলক্ষে খুবিতে শোভাযাত্রা  শোভাযাত্রা

খুলনা: ‘বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান’-এ স্লোগানকে সামনে রেখে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিদ দিবস-২০২১ উদযাপিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে সোমবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ক্যাম্পাসে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়।

শোভাযাত্রাটি আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ ভবনের সামনে দিয়ে হাদী চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। শোভাযাত্রা শেষে সেখানে দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।

অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. মো. সারওয়ার জাহানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন উপাচার্যের রুটিন দায়িত্বে নিয়োজিত উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মোসাম্মাৎ হোসনে আরা।

তিনি বলেন, ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের প্রথম শ্রেণির মর্যাদা প্রদান করেছিলেন। তার এ ঘোষণা ছিল অত্যন্ত দূরদর্শী ও সদ্য স্বাধীন দেশের কৃষির সমৃদ্ধির জন্য যুগোপযোগী। যার ধারাবাহিকতায় বঙ্গবন্ধু কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্ব ও পরিকল্পনায় কৃষিবিদদের অবদানে বাংলাদেশ আজ খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন করেছে।

হোসনে আরা বলেন, ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৃষিতে বিশেষ গুরুত্ব দেওয়া হয়। যার ফলে আজ ধান, মাছ, শাক-সবজি, ফল এসব কৃষিপণ্য উৎপাদনে বিশ্বে বাংলাদেশ সপ্তম স্থানের মধ্যে রয়েছে।  

তিনি বলেন, পেটে খিদা থাকলে কোনো মানুষ সামনে এগোতে পারে না। সৃজনশীল বা কর্মমুখী হতে পারে না। বাংলাদেশের মানুষের আজ ক্ষুধা নেই, তাই মানুষ আজ বিভিন্ন পেশায় ভালোভাবে কাজ করছে। ফলে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এক সময়ের খাদ্য ঘাটতির দেশ আজ খাদ্য রপ্তানির দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের জীববিজ্ঞানভিত্তিক ডিসিপ্লিনসমূহের গবেষণা কার্যক্রমকে সমন্বিত করে এক্ষেত্রে আরও অবদান রাখার জন্য আহ্বান জানান।

আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য রাখেন- জীববিজ্ঞান স্কুলের ডিন প্রফেসর খান গোলাম কুদ্দুস, এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. সালমা বেগম, ফিশারিজ অ্যান্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মো. গোলাম সরোয়ার। স্বাগত বক্তব্য রাখেন অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের শিক্ষক প্রফেসর ড. মোহাম্মদ বশীর আহমেদ। সভা সঞ্চালনা করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক মো. মারুফ বিল্লাহ।

এ সময় অ্যাগ্রো টেকনোলজি ডিসিপ্লিনসহ জীববিজ্ঞান স্কুলের বিভিন্ন ডিসিপ্লিনের শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীরা উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৭ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২১
এমআরএম/আরবি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।