বরিশাল: গভীর রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের ওপর অতর্কিত হামলার প্রতিবাদে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেছেন শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৭টা থেকে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মুল ফটকের সামনে বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা।
এ সময় একটি যাত্রীবাহি বাসেও ভাঙচুর চালানো হয়। হামলার ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেছেন তারা।
এদিকে রাতের ওই হামলার ঘটনায় আহত ১১ জনকে সকাল সাড়ে ৯ টায় বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে দেখতে যান বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. মো. ছাদেকুল আরেফিন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা জানান, মঙ্গলবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে বরিশাল নগরের রুপাতলী হাউজিং এলাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের মেসে হামলা চালান দুর্বৃত্তরা। এ খবর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে আশেপাশের মেসে থাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সহপাঠীদের উদ্ধারে এগিয়ে আসেন। এ সময় তারাও হামলার শিকার হন। হামলায় ১৫ জনের মতো আহত হন, যাদের মধ্যে ১১ জনকে বরিশাল শের ই বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনার প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা বুধবার সকাল ৭টা থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনের বরিশাল-পটুয়াখালী মহাসড়ক অবরোধ করেন। এ সময় একটি বাস ভাঙচুরের ঘটনা ঘটে। সড়কে ইট ও কাঠ ফেলে সড়ক অবরোধ করে রাখা হয়। এতে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ যাত্রীরা। হামলাকারীদের গ্রেফতার ও বিচার না হওয়া পর্যন্ত সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার কথা জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
এ বিষয়ে ববির সহকারী প্রক্টর রিফাত ফেরদৌস জানান, আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করা হচ্ছে।
উল্লেখ্য, গতকাল মঙ্গলবার বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষার্থী তৌফিকুল সজল ও ফারজানা আক্তার মেমি নিজ বাড়ি খুলনায় যাওয়ার জন্য রুপাতলীস্থ বিআরটিসি কাউন্টারে যান। সেখানে কাউন্টার স্টাফ রফিক তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে কথাকাটাকাটির জের ধরে সজল ও মেমিকে মারধর ও লাঞ্ছিত করেন। এর প্রতিবাদে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ করেন এবং রফিককে গ্রেফতারের দাবি জানায়। পুলিশ এক ঘণ্টার মধ্যে রফিককে গ্রেফতার করে, এরপর রাতে শিক্ষার্থীদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৩ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২১
এমএস/এমআরএ