ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) এবং জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীদের দ্রুত হল ত্যাগের আহ্বান জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, শিক্ষার্থীদের করোনা ভ্যাকসিন দিয়ে হলে নেওয়া হবে। আর বয়সসীমার কারণে বিসিএস পরীক্ষায় শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না।
করোনাকালীন উচ্চশিক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) দুপুর সোয়া দুইটায় অনলাইনে জরুরি সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষামন্ত্রী এ কথা জানান।
শিক্ষামন্ত্রী জানান, ঈদ-উল-ফিতরের পর ২৪ মে থেকে দেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে শ্রেণিকক্ষে পাঠদান শুরু হবে। আর আবাসিক হলগুলো এক সপ্তাহ আগে অর্থাৎ ১৭ মে খুলে দেওয়া হবে।
দেশের সরকারি-বেসরকারি সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য এই সিদ্ধান্ত প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী।
এরই মধ্যে ঢাবির শহীদুল্লাহ হলের শিক্ষার্থীরা তালা ভেঙে সোমবার সকালে হলে ঢুকেছেন। এর আগে গত ২০ ফেব্রুয়ারি দুপুরে জাহাঙ্গীরনগরে আল বেরুনি হলের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। পরে শিক্ষার্থীরা ফজিলাতুন্নেসা হল, নওয়াব ফয়জুন্নেসা হল, শেখ হাসিনা হল, খালেদা জিয়া হল ও জাহানারা ইমাম হলের গেট ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করেন। কিন্তু প্রশাসন তালা লাগিয়ে দিলে আবারও সোমবার সকালে তারা ভেঙে হলে ঢুকে পড়েন।
সংবাদ সম্মেলনে ঢাবি এবং জাবির বিষয়টি দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য হল খোলার সিদ্ধান্ত (১৭ মে) প্রযোজ্য হবে।
আমরা সময় নিচ্ছি কারণ প্রায় এক বছর ধরে হলগুলো বন্ধ রয়েছে, সেগুলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা দরকার। শিক্ষামন্ত্রী শিক্ষার্থীদের সেই সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করে হল ত্যাগের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষার্থীরা বিসিএস পরীক্ষার পড়াশোনার জন্য হলে উঠতে চাইছেন। আমরা বিসিএস পরীক্ষার আবেদন ও পরীক্ষার তারিখ পিছিয়ে দিচ্ছি। বয়সসীমার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত যাতে না হয় সেজন্য সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তবে, হল খোলার অজুহাতে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোকে অস্থিতিশীল করার জন্য একটি চক্র ষড়যন্ত্র করতে পারে বলেও মনে করেন শিক্ষামন্ত্রী।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার্থীদের ভ্যাকসিন দিয়ে হলে নেওয়া হবে। সরকার নিরলস প্রচেষ্টায় করোনা নিয়ন্ত্রণে রাখতে পেরেছে। আমরা ভ্যাকসিন না দিয়ে শিক্ষার্থীদের হলে নিয়ে অনিরাপদ অবস্থায় সবাইকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলতে পারি না। এজন্য শিক্ষার্থীরা সারাদেশে রেজিস্ট্রেশন করে এই সময়ের মধ্যে ভ্যাকসিন দিতে পারবো।
সারাদেশের সব বিশ্ববিদ্যালয়ে এক লাখ ৩০ হাজার আবাসিক শিক্ষার্থীর ভ্যাকসিন দিতে কিছুটা সময় লাগবে জানিয়ে মন্ত্রী বলেন, অন্তত তারা প্রথম ডোজ নিয়ে হলে উঠবেন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, যেখানে হল থাকবে সেখানে ভ্যাকসিন নিতে হবে। ভ্যাকসিন নিয়েই হলে উঠতে হবে। তবে, কোনো শিক্ষার্থী স্বাস্থ্যগত সমস্যায় ভ্যাকসিন নিতে না পারলে তিনি হলে উঠতে পারবেন।
আর বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে ১৫ হাজার ৫শ২৪ জন শিক্ষককেও ভ্যাকসিনের আওতায় আনা হবে বলেও জানান শিক্ষামন্ত্রী।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২৯ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২২, ২০২১
এমআইএইচ/এএটি