ঢাকা, শুক্রবার, ৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ০৯ শাওয়াল ১৪৪৫

শিক্ষা

‘ইবির শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে ভালো করছে, এটা আনন্দের’

তারিকুল ইসলাম, ইবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১০৪৬ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
‘ইবির শিক্ষার্থীরা চাকরির বাজারে ভালো করছে, এটা আনন্দের’ অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান (ফাইল ফটো)

ইবি (কুষ্টিয়া): সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) শেষ হয়েছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) উপ-উপাচার্য তৃতীয় (ব্যক্তি হিসেবে দ্বিতীয়) অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানের চার বছরের মেয়াদ।

এর আগের মেয়াদেও তিনি এ দায়িত্ব পালন করেন।

প্রশাসনিক তিন কর্তা ব্যক্তির মধ্যে সর্বপ্রথম টানা দু’বার উপ-উপাচার্যের মেয়াদ পূর্ণ করলেন অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান।

২০১৩ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমানকে উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর। এরপর ২০১৭ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ফের দ্বিতীয় মেয়াদে নিয়োগ পান তিনি।

ইবির উপ-উপাচার্য হিসেবে পথ চলার আট বছরের অভিজ্ঞতার নানা বিষয় বাংলানিউজের একান্ত সাক্ষাৎকারে তুলে ধরেছেন তিনি।  

অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, আট বছরের পথ চলায় তিনজন দক্ষ উপাচার্য পেয়েছি। তাদের সঙ্গে কাজ করে অত্যন্ত আনন্দ পেয়েছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্য কর্তা ব্যক্তিদের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বিশ্ববিদ্যালয়ের দৃশ্যমান উন্নয়ন এবং আমাদের শিক্ষার্থীদের উন্নয়নে কাজ করার চেষ্টা করেছি সব সময়। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে চাকরির বাজারের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে বেড়েছে বিভিন্ন বিভাগ। শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন চাকরির ক্ষেত্রে বিভিন্ন জায়গায় অনেক ভালো করছেন, তারা প্রতিষ্ঠিত হচ্ছেন। এগুলো আমাকে খুবই আনন্দ দিয়েছে।

তিনি বলেন, প্রত্যেকটা বিভাগ যেন সেশনজটমুক্ত থাকে সেজন্য আমরা সব সময় চেষ্টা করেছি। আমরা নিজেরা শ্রেণি কক্ষে ক্লাস নেওয়ার পাশাপাশি অন্য শিক্ষকদের অনুপ্রাণিত করেছি। তারা যেন বিভাগগুলো সেশনজটমুক্ত রাখেন। এ বিশ্ববিদ্যালয় প্রায় পুরোপুরি সেশনজটমুক্ত হয়েও গিয়েছিল। তবে করোনা মহামারির কারণে একটু থমকে গেলেও কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা চলছে।

শিক্ষার্থীদের শুধু প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার গণ্ডিতে না থাকার আহ্বান জানিয়ে অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান বলেন, ১০ বছর প্রাতিষ্ঠনিক শিক্ষা নিয়ে যা শেখা যায় না, তার থেকে অনেক বেশি শেখা যায় এক বছরের বিভিন্ন অভিজ্ঞতার মধ্য দিয়ে। সব অভিজ্ঞতামূলক কাজকে পড়ালেখার সঙ্গে সমন্বয় করে একজন শিক্ষার্থীকে সামনে এগিয়ে যেতে হবে। যতক্ষণ পর্যন্ত জ্ঞানকে মনুষ্যত্বের জায়গায় কাজে লাগানো যাবে না, ততক্ষণ শিক্ষার মূল বহিঃপ্রকাশ ঘটবে না। আর এভাবেই দেশপ্রেম ও সংস্কৃতিবোধ তৈরি হবে।  

তিনি বলেন, মনুষ্যত্ববোধ দিয়েই মানুষকে ভালোবাসার মধ্য দিয়ে আমাদের শিক্ষার্থীরা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার বাইরে এসব শিক্ষা অর্জন করে দেশের ও দশের সেবা করবেন বলে বিশ্বাস রাখি। দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। তাহলেই আমরা শিক্ষক হিসেবে সার্থক।

প্রাপ্তি ও প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাইলে ড. শাহিনুর রহমান বলেন, আমি প্রশাসনিক ও অধ্যাপনার জায়গা এ দুটোকে আলাদা করছি না। কারণ নিজে সব সময় শ্রেণি কক্ষেই পাঠদান করেছি, নিজেকে সব সময় অধ্যাপক হিসেবেই ভেবেছি। প্রশাসনিক দায়িত্বও আমাকে সেই মনোভাব থেকে সরাতে পারেনি। শিক্ষক হিসেবে সব সময় চাই, যেকোনো মূল্যে আমাদের এই বিশ্ববিদ্যালয়টি আবাসিক হোক। আর সব শিক্ষক-শিক্ষার্থীর যেন প্রাতিষ্ঠানিক ই-মেইল আইডি থাকে।

অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান ইবির উপ-উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পাওয়ার আগে খুলনা, জগন্নাথ ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে (জবি) ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। তিনি বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিয়োগ বোর্ডের বিশেষজ্ঞ সদস্য এবং পাবলিক সার্ভিস কমিশনের (বিসিএস) নিয়োগ বোর্ডের সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

এছাড়াও তিনি মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন, ইংরেজি বিভাগের সভাপতি এবং জবির ইংরেজি বিভাগে দুই মেয়াদে সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপকের পাশাপাশি, সমাজকল্যাণ বিভাগের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন।

বাংলাদেশ সময়: ১০৪০ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২১
এসআরএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।