ঢাকা, শুক্রবার, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৮ রমজান ১৪৪৫

শিক্ষা

রাবিতে নিয়োগ বন্ধ রাখতে উপাচার্যকে চিঠি

রাবি করেসপন্ডেন্ট  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
রাবিতে নিয়োগ বন্ধ রাখতে উপাচার্যকে চিঠি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

রাবি: শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধসহ নয়টি সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নের জন্য উপাচার্যকে চিঠি দিয়েছে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজ।  

সোমবার (১২ এপ্রিল) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আব্দুস সোবহান বরাবর এ চিঠি পাঠানো হয় বলে নিশ্চিত করেছেন মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান।


 
অধ্যাপক এম হাবিবুর রহমান স্বাক্ষরিত চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের দুর্নীতিবিরোধী শিক্ষকদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি) তদন্ত করে বিশ্ববিদ্যালয়ে দুর্নীতি, অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতি ২৫টি অভিযোগের প্রমাণ পায়। পরে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে গত ১০ ও ১৩ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যায় ও অপকর্মের সঙ্গে জড়িত কতিপয় শিক্ষক-কর্মকর্তাকে তলব এবং সব নিয়োগ বন্ধসহ নির্দেশনামূলক ১২টি চিঠি দেয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধের বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের স্টিয়ারিং কমিটির সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাবমূর্তি রক্ষায় সর্বসম্মতভাবে নয়টি সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।
 
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলো হলো- শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নিয়োগ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার না হওয়া পর্যন্ত সব ধরনের নিয়োগ কার্যক্রম বন্ধ রাখা, শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা অনুসরণ করে নতুনভাবে শিক্ষক-কর্মকর্তা-কর্মচারী নিয়োগ নীতিমালা প্রস্তুত করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণ করা, গত ১০ ডিসেম্বর শিক্ষা মন্ত্রণালয় দেওয়া সব ধরনের নিয়োগ বন্ধ সংক্রান্ত নির্দেশনা উপেক্ষা করে গত ১২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত ৫০৩ তম সিন্ডিকেট সভায় গৃহীত সব নিয়োগ বাতিল করা, ফলিত গণিত বিভাগে নিয়মবহির্ভূতভাবে একজন শিক্ষককে দেওয়া এডহক নিয়োগ বাতিল করা, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিক এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ও মূল্যবোধে বিশ্বাসী প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজকে উপেক্ষা করার কারণ ব্যাখ্যা করা, পূর্ববর্তী রেজিস্ট্রারকে অপসারণ না করে তার পদত্যাগপত্র গ্রহণের সিদ্ধান্ত বাতিল করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনার আলোকে রেজিস্ট্রারকে অপসারণের ব্যবস্থা করা, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের বিরুদ্ধে তদন্ত কমিটির তদন্ত কার্যক্রম অতিসত্বর নিষ্পত্তি করার ব্যবস্থা করা।
 
চিঠির বিষয়ে উপাচার্য দফতরের সচিব মীর শাহ্জাহান আলী বলেন, উপাচার্য অনেকদিন প্রশাসন ভবনে বসেন না। আমি ক্যাম্পাসের বাহিরে আছি। তবে শুনেছি দফতরে এ সংক্রান্ত একটি চিঠি এসেছে।
 
জানতে চাইলে প্রগতিশীল শিক্ষক সমাজের আহ্বায়ক অধ্যাপক হাবিবুর রহমান বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে একটি সভা হয়েছে। সেখানের কিছু সিদ্ধান্তের বিষয়ে উপাচার্যকে চিঠি পাঠানো হয়েছে। তবে এটি আমাদের দলের অভ্যন্তরীণ বিষয়।

বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ১২, ২০২১
আরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।