ঢাকা, রবিবার, ৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ২২ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত রাখার দাবি

সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়কে দুর্নীতিমুক্ত রাখার দাবি

ঢাকা: দেশের শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় নর্থ সাউথকে দুর্নীতির কবল থেকে রক্ষার দাবি জানিয়েছে প্রটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশন নামে একটি সংগঠন।  

বিশ্ববিদ্যালয়টির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান আজিম উদ্দিন আহমেদ ও সদস্য এম এ কাসেমের বিভিন্ন অনিয়মের বিষয়ে দুর্নীতি দমন কমিশনে অভিযোগ দায়েরের পর এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানানো হয়।

মঙ্গলবার (১৩ জুলাই) রাজধানীর সেগুনবাগিচায় ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর-রুনি মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন প্রটেকশন ফর লিগ্যাল হিউম্যান রাইটস ফাউন্ডেশনের উপদেষ্টা ড. সুফি সাগর সামস।  

সংবাদ সম্মেলনে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পর থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ২৮ বছরের আয়-ব্যয়ের হিসাব পুনঃনিরীক্ষা করে প্রতিবেদন প্রকাশের দাবি জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, ১৯৯২ সালে যাত্রা শুরু করা নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় দেশের অন্যতম শীর্ষ বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় হলেও পরিচালনা পর্ষদের দুয়েকজন ব্যক্তির কারণে ডুবতে বসেছে প্রতিষ্ঠানটি। নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয় পরিচালিত হয় একটি ট্রাস্টি বোর্ডের মাধ্যমে। এই ট্রাস্টি বোর্ড একটি মানবহিতৈষী, দানশীল, জনহিতকর, অরাজনৈতিক, অলাভজনক ও অবাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান। কিন্তু আজিম উদ্দিন আহমেদ এবং এম এ কাসেম প্রতিষ্ঠানটিকে বেআইনিভাবে বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান বানিয়ে শতশত কোটি টাকা বাণিজ্য করছেন এবং সেই টাকা উভয়ে যোগসাজশে আত্মসাৎ করেছেন।  

সংবাদ সম্মেলনে ড. সাগর সামস বলেন, রাষ্ট্রের স্বার্থে নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো একটি প্রতিষ্ঠানে এমন লাগামহীন দুর্নীতির তদন্ত হওয়া উচিত। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।  

সংবাদ সম্মেলনে দুই ট্রাস্টির দুর্নীতির বিভিন্ন বিষয় তুলে ধরা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে ড. সাগর সামস আরও বলেন, নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য জমি ক্রয় করে প্রায় ২০০ কোটি টাকা আত্মসাৎ, ২০১৯ সালে বিলাসবহুল গাড়ি ক্রয় করে ২১ কোটি টাকা অপব্যয় ও আত্মসাৎ, বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) অনুমোদনের বাইরে ১০টি সেকশন চালু করে অতিরিক্ত শিক্ষার্থী ভর্তিপূর্বক বিশাল অংকের টাকা বাণিজ্য করা হয়। এই টাকা বিভিন্নভাবে আত্মসাৎ করেন ট্রাস্টি বোর্ডের সাবেক সভাপতি মো. শাহজাহানসহ আজিম-কাসেম সিন্ডিকেট। তাদের যোগসাজশে সাধারণ তহবিল থেকে বেআইনিভাবে ১১৪ কোটি টাকা আত্মসাৎ, পরিবারের সদস্যসহ বিদেশ ভ্রমণ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় কোটি টাকা অপব্যয় ও আত্মসাৎ, সিটিং অ্যালাউন্স বাবদ ৩ কোটি ২৭ লাখ টাকা আত্মসাৎ, গাড়ি চালক ও জ্বালানি বাবদ ৪৮ লাখ টাকা আত্মসাৎ এবং ২০১৯-২০২০ অর্থবছরে শিক্ষার্থীদের দেওয়া টিউশন ফির অর্থ থেকে ভাতা বাবদ প্রায় ৪ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ করা হয় সংবাদ সম্মেলনে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ১৩, ২০২১
এমআইএস/আরআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।