খুলনা: খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের গবেষণায় আগ্রহী করতে অনুদান দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয়টির সিন্ডিকেট সভায়।
৮ সেপ্টেম্বর (বুধবার) উপাচার্য প্রফেসর ড. মাহমুদ হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের ২১৪তম সভায় এ সংক্রান্ত সংশোধিত নীতিমালার অনুমোদন দেওয়া হয়।
এর আগে এ সংক্রান্ত প্রস্তাব বোর্ড অব অ্যাডভান্স স্টাডিজের ৪৬তম সভায় উপস্থাপিত হয়, যা একাডেমিক কাউন্সিলের ১৭৩তম সভায় গৃহীত হয় এবং সিন্ডিকেটে সুপারিশ করা হয়। এ সংক্রান্ত একটি বিজ্ঞপ্তি ইতোমধ্যে জারি করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সব ডিসিপ্লিনের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স) এবং পিএইচডি প্রোগ্রামে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের স্নাতকোত্তর (মাস্টার্স), এমফিল এবং পিএইচডি গবেষণার জন্য চলতি ২০২১-২০২২ অর্থবছর হতে অনুদান প্রদান করা হবে। আগ্রহী শিক্ষার্থীদের ডিসিপ্লিন প্রধানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট স্কুলের ডিন বরাবর আবেদন করতে বলা হয়েছে। আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর, ২০২১ পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা।
গবেষণার অনুদান সংক্রান্ত নীতিমালা ও আবেদন ফরম সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনে পাওয়া যাবে। ডিসিপ্লিন বাছাই কমিটি দ্বারা প্রাথমিকভাবে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা যোগ্যতার মানদণ্ডের ভিত্তিতে মাস্টার্সের থিসিস টার্মে ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে প্রতি মাসে ৫০০০ টাকা হারে গবেষণা অনুদান পাবেন।
এছাড়া এমফিল ও পিএইচডি গবেষণার জন্য প্রতি মাসে যথাক্রমে ৮,০০০ টাকা ও ১০,০০০ টাকা হারে গবেষণা-অনুদান পাবেন তারা। এ গবেষণা অনুদান প্রতি ৬ মাস অন্তর দেওয়া হবে ও অনুদানের সময়সীমা হবে মাস্টার্সের জন্য ১২ মাস।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের মধ্যে যারা পূর্ণকালীন/খণ্ডকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন, সেই সব গবেষককে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৪ মাস/৪৮ মাসের জন্য গবেষণা-অনুদান দেওয়া হবে। শিক্ষক ব্যতীত যারা পূর্ণকালীন শিক্ষার্থী হিসেবে এমফিল/পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তি হবেন, সেই গবেষককে যথাক্রমে সর্বোচ্চ ২৪ মাসের জন্য গবেষণা-অনুদান দেওয়া হবে। যদি গবেষণার সময়সীমা কোনো কারণে অতিক্রান্ত হয়, তবে অতিরিক্ত সময়ের জন্য এই গবেষণা-অনুদান প্রযোজ্য হবে না।
নির্ধারিত সময়ের পূর্বেই গবেষকের চূড়ান্ত প্রতিপাদন/সাক্ষাৎকার-পর্ব (ডিফেন্স/ভাইভা) অনুষ্ঠিত হলে, ওই দিন থেকেই এই গবেষণা-অনুদানের মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়েছে বলে বিবেচিত হবে। তবে যে সব গবেষক অন্য কোনো উৎস থেকে গবেষণা-অনুদান পাবেন না তারাই কেবল এমফিল/পিএইচডি গবেষণার জন্য এ অনুদান প্রাপ্য হবেন।
জানা যায়, প্রাথমিকভাবে প্রতি ডিসিপ্লিন থেকে দুই জন মাস্টার্স, দুই জন এমফিল ও দুই জন পিএইচডির জন্য মনোনীত হবেন। এ খাতের তহবিল থাকা সাপেক্ষে এই সংখ্যা কম-বেশি হতে পারে। গবেষণা প্রোগ্রামের মেয়াদ ১২ মাস পেরিয়ে গেলেও একজন শিক্ষার্থীকে সর্বোচ্চ এক বছরের জন্যই গবেষণা অনুদান দেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ২০০৫ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১৪, ২০২১
এমআরএম/এমজেএফ