ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ববির মোহনা পেলেন ইউএনভির অ্যাওয়ার্ড 

স্টাফ করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২০১৯ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
ববির মোহনা পেলেন ইউএনভির অ্যাওয়ার্ড 

বরিশাল: জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ইউএনভি’র ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ পেয়েছেন বরিশাল বিশ্ববিদালয়ের (ববি) শিক্ষার্থী কামরুন নাহার মোহনা।

করোনাকালে স্বাস্থ্য, সচেতনতা বৃদ্ধি, খাদ্য বিতরণ, সহিংসতা প্রতিরোধ, শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা, স্যানিটেশন, পরিবেশ, মানসিক স্বাস্থ্য ইত্যাদি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ এ সম্মাননা দেওয়া হয়।

দেশব্যাপী ১৫ জন নারীকে তাদের স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে দেশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের জন্য ‘ইন্সপায়ারিং উইমেন ভলান্টিয়ার অ্যাওয়ার্ড ২০২১’ দেয় জাতিসংঘের স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ‘ইউএনভি’।  

বুধবার (১৩ অক্টোবর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে এলজিএইডি ভবনে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এ অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়।

বিশ্বব্যাপী স্বেচ্ছাসেবায় নিয়োজিতদের ৫৭ শতাংশই নারী। স্বেচ্ছাসেবার মাধ্যমে একদিকে যেমন নারীদের অংশগ্রহণ শক্তিশালী হয় তেমনি অসমতা দূরীকরণেও ভূমিকা পালন করে। নারী স্বেচ্ছাসেবীদের এই গুরুত্বপূর্ণ অবদানকে স্বীকৃতি জানাতে এবং অনুপ্রেরণা জোগাতে ইউএনভি বাংলাদেশ, ভিএসও বাংলাদেশ, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ এবং একশনএইড বাংলাদেশ যৌথভাবে এই সম্মাননা দেওয়ার আয়োজন করে।  

বরিশাল বিশ্ববদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের তৃতীয় বর্ষের দ্বিতীয় সেমিস্টারের শিক্ষার্থী কামরুন নাহার মোহনা তার প্রতিষ্ঠিত সংস্থা ‘আনন্দ স্কুলের’ মাধ্যমে করোনাকালীন সমাজের অসহায় মানুষের জন্য কাজ করেছেন। এই সংগঠনের মাধ্যমে তিনি করোনাকালীন স্বাস্থ্য সচেতনতা, শিশু সুরক্ষা, শিক্ষা, খাদ্য বিতরণ, লিঙ্গ ভিত্তিক সহিংসতা রোধে কাজ করেছেন। বিগত পাঁচ বছর ধরে তিনি এই সংগঠনের মাধ্যমে অসহায় শিশু ও নারীদের জন্য কাজ করে চলেছেন।  

মোহনা বলেন, নারী স্বেচ্ছাসেবীরা নানা প্রতিকূলতার মধ্য দিয়ে সমাজের জন্য কাজ করে যান। করোনাকালীন তা ছিল আরও চ্যালেঞ্জিং। দেশব্যাপী সেরা ১৫ জনের মধ্যে এই স্বীকৃতি পেয়ে সম্মানিত বোধ করছি। এমন সম্মাননা স্বেচ্ছাসেবী কাজ চালিয়ে যেতে অনুপ্রাণিত করবে।

পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের পাবলিক প্রাইভেট পার্টনারশিপ (পিপিপি) কর্তৃপক্ষের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) সুলতানা আফরোজ বলেন, সারাবিশ্বেই করোনাকালীন সংকটের শুরু থেকেই নারীরা প্রথম সারির সাড়াপ্রদানকারী হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছেন। তাদের এ অবদানের মাধ্যমে তারা বৃহত্তর ইতিবাচক প্রভাব রাখছেন। শারীরিক, সামাজিক, অর্থনৈতিক বাধা সত্ত্বেও তারা বিভিন্ন খাতে অভূতপূর্ব অবদান রেখে চলেছেন, যা মর্যাদা ও সম্মান পাওয়ার দাবিদার।

আয়োজনে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- ইউএনডিপির ডেপুটি রেসিডেন্ট রিপ্রেজেন্টেটিভ ভ্যান নুয়েন, স্থানীয় সরকার বিভাগের অতিরিক্ত সচিব দীপক চক্রবর্তী, ইউএনভির কান্ট্রি কো-অরডিনেটর আক্তার উদ্দিন এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উইমেন অ্যান্ড জেন্ডার স্টাডিজ বিভাগের অধ্যাপক তানিয়া হক।

আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক অতিরিক্ত সচিব ড. কাজী আনোয়ারুল হক, স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদফতরের প্রধান প্রকৌশলী রশীদ খান, প্ল্যান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের পরিচালক জলি নূর হক, ভিএসও বাংলাদেশের বিজনেস পারসুইট লিড মো. সালাহউদ্দিন আহমেদ ও একশনএইড বাংলাদেশের প্রোগ্রাম অফিসার আফসানা আলিম।

বাংলাদেশ সময়: ২০১৩ ঘণ্টা, অক্টোবর ১৫, ২০২১
এমএস/এমআরএ

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।