ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

দৃষ্টিনন্দন চারতলা মসজিদ হবে শাবিপ্রবিতে

শাবিপ্রবি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৭ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
দৃষ্টিনন্দন চারতলা মসজিদ হবে শাবিপ্রবিতে

শাবিপ্রবি (সিলেট): শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) সাম্প্রতিক সময়ে টং দোকান, মসজিদ ও ক্যাম্পাসে মশার উপদ্রবসহ বেশ কিছু বিষয় নিয়ে শিক্ষার্থীদের মধ্যে তৈরি হয়েছে কৌতূহল ও নানামুখী আলোচনা।

মঙ্গলবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে বাংলানিউজ টুয়েন্টিফোর.কম এর সঙ্গে একান্ত আলাপকালে এসব বিষয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিভিন্ন উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

বিশ্ববিদ্যালয়ের টং দোকান উঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে বিভিন্ন ধরণের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো হচ্ছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, আমরা টং দোকান উঠিয়ে দেইনি এবং এ ব্যাপারে বর্তমানে কোন নিষেধাজ্ঞাও নেই। করোনার কারণে দীর্ঘদিন ক্যাম্পাস বন্ধ ছিল। ফলে অধিকাংশ টং বন্ধ হয়ে গেছে। তাই এগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ্যকর খাবার নিশ্চিত করতে শাবিপ্রবি প্রশাসন বদ্ধ পরিকর। পাশাপাশি শিক্ষার্থীদের খাবারের জায়গা যাতে অপ্রতুল না হয় সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখা হচ্ছে। ক্যাম্পাসে সবার স্বাস্থ্য সুরক্ষার বিষয়টি অগ্রাধিকার দিয়ে সেন্ট্রাল ক্যাফেটেরিয়াসহ ৩টি ফুডকোর্ট এবং হ্যান্ডবল গ্রাউন্ড সংলগ্ন এলাকায় ৩টি খাবারের দোকান চালু করা হয়েছে। কর্মচারীদের জন্য স্বল্প পরিসরে ১টি স্টাফ ক্যান্টিন চালু করা হয়েছে। কয়েকদিনের মধ্যে আইআইসিটি ক্যাফেটেরিয়া খুলে দেওয়া হবে।

এছাড়া চলতি বছরের শীতের ছুটির মধ্যে বর্তমানে অবস্থিত ফুড কোর্টের পাশে দৃষ্টিনন্দনভাবে আরও তিনটি ফুড কোর্ট করা হবে। যেগুলো পূর্বের তুলনায় বড় হবে এবং এগুলোতে শিক্ষার্থীদের বসার জন্য পর্যাপ্ত জায়গা থাকবে।

মশার উপদ্রব নিরসনে সাম্প্রতিক সময়ে বিভিন্ন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে উল্লেখ করে উপাচার্য বলেন, মশার উপদ্রবে শিক্ষার্থীদের সমস্যা যেন না হয়, সে জন্য আমরা হলের আশে পাশের নালা, ডোবা, ঝোপ-জঙ্গলগুলো পরিষ্কার করেছি। ৪টি ফগার মেশিনের সাহায্যে প্রতিদিন ক্যাম্পাসের বিভিন্ন একাডেমিক বিল্ডিং এবং আবাসিক হলের চারপাশে মশা নিরোধক ঔষধ ছিটানো হচ্ছে। আশা করছি খুব দ্রুতই এ সমস্যার সমাধান হবে।

ছেলেদের আবাসিক হলের মসজিদে নামাজের জায়গা সংকট নিয়ে উপাচার্য বলেন, স্বল্পতম সময়ের মধ্যে শিক্ষার্থীদের সমস্যার কথা বিবেচনা করে ১৩ কোটি ৩৪ লাখ টাকা ব্যয়ে দৃষ্টিনন্দন চারতলা হল মসজিদ তৈরির কাজ শুরু করা হবে। মসজিদ নির্মাণ শুরু করার বিষয়টি অগ্রাধিকারের ভিত্তিতে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। মসজিদ নির্মাণের আগ পর্যন্ত যাতে শিক্ষার্থীদের নামাজ পড়ায় সমস্যা যেন না হয়, সেজন্য নামাজের ম্যাটসহ কিছু সামগ্রী ইতিমধ্যে হল মসজিদে কিনে দেওয়া হয়েছে।

এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়ন ও শিক্ষার্থীবান্ধব যে কোন বিষয়ে শিক্ষার্থীদের পাশে নিয়ে কাজ করতে আশাবাদ ব্যক্ত করেন উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন আহমেদ।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৪ ঘণ্টা, নভেম্বর ২৯, ২০২১
এনএইচআর

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।