ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শিক্ষা

ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: মামলা দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার দাবি বাবার

ইউনিভিার্সিটি করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
ঢাবি ছাত্রীর মৃত্যু: মামলা দ্রুত বিচার আদালতে নেওয়ার দাবি বাবার

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রী এলমা চৌধুরীর মৃত্যুর ঘটনা দ্রুত বিচার আদালতের মাধ্যমে সম্পন্নের দাবি জানিছেন তার বাবা সাইফুল ইসলাম চৌধুরী। রোববার (১৯ ডিসেম্বর) ঢাবির রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে অংশ নিয়ে তিনি এ দাবি জানান।

ঢাবির নৃত্যকলা বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ মানববন্ধনের আয়োজন করে। এতে এলমার মা এবং ওই বিভাগের শিক্ষকরাও অংশ নেন।

এ সময় তারা এলমার মৃত্যুকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের পাশবিক ও নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে হত্যাকাণ্ড হিসেবে অভিযোগ করেন।

সাইফুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমার মেয়ে হত্যার বিচার চাই। দ্রুত আদালতে যেন এ বিচার করা হয়। সবারই মেয়ে আছে। এলমা হত্যার বিচার না হলে এদেশের কোনো মেয়ে আর নিরাপদ থাকবে না। প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে কান্নাজড়িত কণ্ঠে তিনি বলেন, আপনি সবার যে কোনো অভিযোগ-অনুযোগ শোনেন, দয়া করে আমার আবেদনটিও শোনবেন।

মা শিল্পী চৌধুরী বলেন, এলমার স্বপ্ন ছিল সে পড়াশোনা করবে, বিসিএস পরীক্ষা দিয়ে অনেক বড় হবে। কিন্তু আমার মেয়েকে সে (এলমার স্বামী) নানা রকম মিষ্টি মিষ্টি মিথ্যা কথা বলে বিয়ে করে। এলমার এই মৃত্যুর পেছনে তার (এলমার স্বামী) পরিবারের সবাই জড়িত। কিন্তু কেন তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না। আমি প্রশাসনকে অনুরোধ করছি তার পরিবারের সবাইকে গ্রেফতার করেন, তাহলে সব তথ্য পাবেন।

শিক্ষক মনীরা পারভীন বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একজন শিক্ষার্থী অনেক আশা-স্বপ্ন নিয়ে আসে। কিন্তু এলমার স্বপ্ন অঙ্কুরেই ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছে। আগে গ্রামে মেয়েদের এই ধরনের নির্যাতন করা হতো। আজকে ২০২১ সালে বাংলাদেশকে যখন সিঙ্গাপুরের সঙ্গে তুলনা করা হচ্ছে, তখন একটা বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া শহরেরর মেয়েকে স্বামীর পাশবিক নির্যাতনের স্বীকার হয়ে মৃত্যুবরণ করতে হয়। ভিক্টিমের পরিবারকেই নানা প্রশ্নের সম্মুখীন করা হয, হেনস্তা করা হয়। অথচ নারীবিদ্বেষী-হত্যাকারীর পরিবারকে নিয়ে কোনো কথা বলা হচ্ছে না। এলমাকে হারানোর দুঃখ আমাদের থেকে যাবে। কিন্তু এই হত্যার সুষ্ঠু বিচার হলে আরও অনেক এলমা রক্ষা পাবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৪৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২১
এসকেবি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।