কুমিল্লা: কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ে অযত্ন-অবহেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় ময়লার স্তূপে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি পড়ে থাকার ঘটনা ঘটেছে।
সোমবার (১১ এপ্রিল) একাডেমিক বিল্ডিং-১ এর (কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ) সিঁড়ির নিচে পরিত্যক্ত আসবাবপত্র, কাগজপত্রসহ জমে থাকা ময়লার স্তূপে ছবি দুইটি পড়ে থাকতে দেখা যায়।
জানা যায়, কলা ও মানবিক এবং সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের সিঁড়ির নিচে পরিষ্কার করার জন্য সকালে এস্টেট শাখার লোকজন আসে। বেলা ১১টার দিকে এস্টেট শাখার লোকজন চলে এলে অনুষদের কর্মচারীরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালান। তবে সেসময় সেখানে এস্টেট শাখার লোকজন কোনো ছবি দেখতে পায়নি বলে দাবি করেন এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার মোহাম্মদ শাহ আলম খান। তবে বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি ময়লার স্তূপে পড়ে থাকতে দেখে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিনকে জানানোর পর ছবিগুলো সরিয়ে নেওয়া হয়। তবে কে বা কারা ছবিগুলো এখানে রেখে গেছেন জানেন না কেউই।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে এস্টেট শাখার সেকশন অফিসার মোহাম্মদ শাহ আলম খান বলেন, ডিন অফিস থেকে সেখানে থাকা পুরাতন আসবাবপত্র পরিষ্কার করতে বলে। আমি লোকজন নিয়ে জায়গাটি পরিষ্কার করি। এসময় কোন ছবি পাইনি আমরা। পরে ডিন স্যারের মাধ্যমে জানতে পারি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পড়ে আছে সেখানে। পরে স্যারের কথায় ছবিগুলো আমি নিজের হেফাজতে নিয়ে আসি। তবে কাজ করার সময় আমরা কোনো ছবি পাইনি।
এদিকে বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি অযত্নে-অবহেলায় পড়ে থাকায় ক্ষোভ প্রকাশ করে শাখা ছাত্রলীগের ইলিয়াস হোসেন সবুজ বাংলানিউজকে বলেন, বঙ্গবন্ধু-প্রধানমন্ত্রীর ছবি এভাবে অবহেলায় পড়ে থাকাটা খুবই নিন্দনীয় বিষয়। কে বা কারা ছবিগুলো এখানে রেখেছে সেটা খুঁজে বের শাস্তির আওতায় নিয়ে আসতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিবে বলে আশা করছি।
সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এন.এম রবিউল আউয়াল চৌধুরী বলেন, অনুষদের সিঁড়ির নিচের জায়গায় অনেকদিন ধরে পুরাতন জিনিসপত্র পড়ে থাকায় এস্টেট শাখাকে পরিষ্কার করতে বলি। সকালে তারা গিয়ে পরিষ্কার করেন। এসময় কেউ যদি ছবি দেখতে পায় তাহলে তাদের এটা সরিয়ে নেওয়া উচিত ছিল। পরে আমি জানতে পারি বঙ্গবন্ধু ও প্রধানমন্ত্রীর ছবি পড়ে আছে। সঙ্গে সঙ্গে এস্টেট শাখাকে ছবিগুলো সরিয়ে নিতে বলি। তবে কে বা কারা রাখছে সেটা আমি বলতে পারছি না।
এ বিষয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ.এফ.এম আবদুল মঈন বাংলানিউজকে বলেন, আমি বিষয়টি জানতে পেরে যারা পরিষ্কার করেছে তাদের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা সেসময় ছবিগুলো দেখতে পাননি বলে জানিয়েছে। তবে আমরা সিসিটিভি ফুটেজ দেখে কে বা কারা ছবিগুলো রেখে গেছে সেই বিষয়ে নিশ্চিত হবো। তারপরে তদন্তে সাক্ষেপে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৩৪ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২২
এনটি