হবিগঞ্জ: হবিগঞ্জের আজমিরীগঞ্জে সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার জন্য আবেদপত্রে সুপারিশ আনতে গেলে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার সঙ্গে শিক্ষিকার ঝগড়া হয়েছে।
এ ঘটনায় অসদাচরণের অভিযোগ এনে শিক্ষকাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছেন শিক্ষা কর্মকর্তা।
গত ৬ এপ্রিল উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তার কার্যালয়ে এ ঘটনা ঘটে। তবে শিক্ষা কর্মকর্তা তার কারণ দর্শানোর নোটিশে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করেন ৭ এপ্রিল। ওই শিক্ষিকার পক্ষ নিয়ে উপজেলার বেশ কয়েকজন শিক্ষক সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মন্তব্য করছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, উপজেলার বদলপুর ইউনিয়নের কাটাখালি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা স্বস্তি রানী দাস গত ৬ এপ্রিল সোনালী ব্যাংক থেকে ঋণ উত্তোলনের আবেদনপত্রে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হকের সুপারিশ নিতে তার কার্যালয়ে যান। এসময় দু’জনের মধ্যে উচ্চস্বরে উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়, যা শোনেন আশপাশের লোকজন।
পরদিন সহকারী শিক্ষিকাকে একটি কারণ দর্শানোর নোটিশ দেন শিক্ষা কর্মকর্তা। এতে শিক্ষিকার বিরুদ্ধে অসদাচরণ ও টেবিলে থাপ্পর দেওয়ার অভিযোগ এনে কেন বিভাগীয় ব্যবস্থার জন্য সুপারিশ করা হবে না, তা জানিয়ে তিনদিনের মধ্যে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়। এছাড়া অসদাচরণের সময় আরও কয়েকজন শিক্ষক সেখানে উপস্থিত ছিলেন এবং ওই শিক্ষিকা ছুটি না নিয়েই পাঠদানে বিঘ্ন ঘটিয়ে কর্মস্থলে অনুপস্থিত ছিলেন বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়। এতে ঘটনার তারিখ উল্লেখ করা হয়েছে ৭ এপ্রিল।
এ বিষয়ে শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হক বলেন, শিক্ষকের ব্যক্তিগত ঋণের আবেদনপত্রে স্বাক্ষর করা আমার দাপ্তরিক দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না। স্বাক্ষর না দেওয়ায় ওই শিক্ষিকা আমার সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেন। আমি একজন সরকারি কর্মকর্তা হিসেবে ব্যক্তিত্ব রক্ষায় তাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দিয়েছি।
অন্যদিকে স্বস্তি রানী দাস বলেন, সোনালী ব্যাংকে ঋণের জন্য গেলে কর্মকর্তারা শিক্ষা কর্মকর্তার সুপারিশ আনতে বলেন। এজন্য আমি তার কার্যালয়ে গেলে তিনি আমাকে অপমান করে কথাবার্তা বলেছেন। আমি অসদাচরণ করিনি।
এদিকে এনিয়ে উপজেলার কয়েকটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক তাদের সহকর্মীর পক্ষ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মন্তব্য করেছেন। কারণ দর্শানোর নোটিশটি নিয়ম বহির্ভুতভাবে দেওয়া হয়েছে বলেও তারা উল্লেখ করেন।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৪৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১৩, ২০২২
এসআই