ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়: খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেওয়ায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) শিক্ষক সমিতির সভাপতি ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. মো. রহমত উল্লাহকে সব প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২০ এপ্রিল) বিকেল ৪টায় অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেটের জরুরি সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সভায় উপস্থিত সিন্ডিকেটের একাধিক সদস্য বাংলানিউজকে জানান, অধ্যাপক রহমত উল্লাহর বক্তব্যের জন্য তিনটি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। প্রথমত, বক্তব্যের জন্য নিন্দা প্রস্তাব গৃহীত হয়। দ্বিতীয়ত, তাকে সব ধরনের প্রশাসনিক ও একাডেমিক কার্যক্রম থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তৃতীয়ত, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামালকে প্রধান করে পাঁচ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন- অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন, সিন্ডিকেট সদস্য এস এম বাহালুল মজনুন চুন্নু, ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. টিটো মিঞা ও আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. সীমা জামান।
এছাড়া সিন্ডিকেট অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে শোকজ করে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বাংলানিউজকে বলেন, অধ্যাপক রহমত উল্লাহকে একাডেমিক ও প্রশাসনিক দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে তদন্তের জন্য একটি কমিটি করা হয়েছে। কমিটি দ্রুত সময়ের মধ্যে রিপোর্ট দেবে বলেও জানান তিনি।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি টিএসসিতে মুজিবনগর দিবসের আলোচনা সভায় খন্দকার মোশতাককে ‘শ্রদ্ধা’ জানিয়ে বক্তব্য দেন অধ্যাপক রহমত উল্লাহ।
খন্দকার মোশতাক ছিলেন বাংলাদেশের স্বঘোষিত রাষ্ট্রপতি। বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর তিনি নিজেকে রাষ্ট্রপতি ঘোষণা করেন। এ সময় তিনি বঙ্গবন্ধুর খুনিদের ‘সূর্য সন্তান’ আখ্যা দেন। তাকে বঙ্গবন্ধু হত্যার পেছনের কারিগর মনে করা হয়।
বাংলাদেশ সময়: ২০০০ ঘণ্টা, এপ্রিল ২০, ২০২২
এসকেবি/আরআইএস