সাভার, (ঢাকা): সাভারের আশুলিয়া শিক্ষককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় হাজী ইউনুছ আলী কলেজের শিক্ষা কার্যক্রম পাঁচ দিন বন্ধ থাকার পর শনিবার (০২ জুলাই) থেকে স্বতঃস্ফূর্তভাবে ক্লাসে ফিরেছেন শিক্ষার্থীরা৷
শনিবার সকালে আশুলিয়ার চিত্রশাইল এলাকায় অবস্থিত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটিতে গিয়ে এমন চিত্র দেখা গেছে।
আরও গেছে, প্রায় ৫০ শতাংশ শিক্ষার্থীর উপস্থিত লক্ষ্য করা গেছে।
এর আগে, নিহত শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার স্মরণে শুক্রবার (০১ জুলাই) এক শোক ও মতবিনিময় সভায় প্রশাসনের পক্ষ থেকেও শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সর্বোচ্চ নিরাপত্তা নিশ্চিতের আশ্বাস দেওয়া হয়েছিল।
হাজী ইউনুছ আলী কলেজের অধ্যক্ষ সাইফুল হাসান বলেন, শুক্রবার আমাদের স্কুলে একটি সভা হয়েছে। সেই সভায় পুলিশের সঙ্গে আমাদের ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। তারা আমাদের সার্বিক নিরাপত্তার ব্যাপারে আশ্বস্ত করেছেন। ছাত্রদের উত্তাল আন্দোলনের কারণে এত দিন তারা বিক্ষিপ্ত ছিল এবং লেখাপড়ার বেশ অবনতি হয়েছে। সামনে এসএসসি এবং এইচএসসি পরীক্ষা। তাই আমরা তাদের দ্রুত ক্লাসে ফেরানোর চেষ্টা করেছি। আজ থেকে ক্লাস শুরু হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উপস্থিত সকালের শাখায় ৫৩ শতাংশ ও দুপুর শাখায় ৬০ শতাংশ। ইতোমধ্যে সরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ঈদের ছুটি শুরু হয়ে গেছে। আমরা দুই-এক দিন ক্লাস নিয়ে ছুটির জন্য পড়ার নির্দেশনা দিয়ে ছুটি দিয়ে দেব।
এ বিষয়ে আশুলিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আল মামুন কবির বাংলানিউজকে বলেন, আমরা স্কুলের আশ-পাশে পাশেই অবস্থান করছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষকের সঙ্গে কথা হয়েছে। শিক্ষার্থীরা ক্লাস করছে। আমরা সব সময় স্কুলের আশেপাশে এলাকায়ই থাকবো।
শনিবার (২৫ জুন) দুপুরে হাজী ইউনুস আলী কলেজে মেয়েদের ক্রিকেট খেলা চলার সময় পেছন থেকে শিক্ষক উৎপলকে কাঠের স্ট্যাম্প দিয়ে হামলা করে জিতু দাদা নামের এক ছাত্র। পরে দ্রুত তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিলে একদিন পর রোববার (২৬ জুন) চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান তিনি। এ ঘটনায় রোববারেই নিহতের ভাই অসীম কুমার সরকার বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় জিতুর নামে একটি মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনার চারদিন পর বুধবার (২৯ জুন) জিতুর বাবাকে কুষ্টিয়া থেকে ও জিতুকে গাজীপুর থেকে গ্রেফতার করে দুইজনকে ৫ দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৪১ ঘণ্টা, জুলাই ০২, ২০২২
এসএফ/এএটি