ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচনে সম্পদে মোস্তফার চেয়ে এগিয়ে ডালিয়া

ডিস্ট্রিক্ট করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৪১২ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
রসিক নির্বাচনে সম্পদে মোস্তফার চেয়ে এগিয়ে ডালিয়া

রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে মেয়র পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও সাবেক সংসদ সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া সম্পদের হিসেবে জাতীয় পার্টির প্রার্থী সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার চেয়ে এগিয়ে আছেন। তবে বার্ষিক আয়ে পিছিয়ে আছেন ডালিয়া।

তার বার্ষিক আয় ৬ লাখ ৭৫ হাজার টাকা। অপরদিকে মোস্তফার বার্ষিক আয় ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা।

মনোনয়নপত্রের সঙ্গে নির্বাচন কমিশনে (ইসি) জমা দেওয়া ব্যক্তিগত তথ্য বিশ্লেষণে দুই প্রার্থীর সম্পদের এ চিত্র উঠে এসেছে।

আইন অনুযায়ী, মনোনয়নপত্রের সঙ্গে প্রার্থীরা ব্যক্তিগত তথ্য হলফনামার মাধ্যমে ইসিতে জমা দিয়েছেন। এসব তথ্য ভুল প্রমাণ হলে প্রার্থিতা বাতিলের ক্ষমতা রয়েছে নির্বাচন কমিশনের হাতে। আইন পেশায় নিয়োজিত হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া তার শিক্ষাগত যোগ্যতার ঘরে লিখেছেন স্নাতক (এলএলবি)। আর রংপুর সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফার শিক্ষাগত যোগ্যতা বিএসসি। এছাড়া এ দুই প্রার্থীর নামে কোনো মামলা নেই। কোনো আর্থিক প্রতিষ্ঠানে ঋণও নেই।

হলফনামা ঘেঁটে জানা যায়, আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া রংপুর মহানগরীর জিএলরায় রোডের বাসিন্দা। ডালিয়া বছরে কৃষিখাত থেকে ৪২ হাজার টাকা, বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া থেকে ১ লাখ তিন হাজার ৫০০ টাকা, আইন পেশা থেকে ৪ লাখ ২৫ হাজার টাকা, সঞ্চয়পত্রের মুনাফা থেকে ৯৫ হাজার ৪০ টাকা, ব্যাংক সুদ থেকে ৯ হাজার ৫৫৭ টাকা আয় করেন।

তার অস্থাবর সম্পত্তির মধ্যে নিজ নামে নগদ ৪৪ লাখ ২১ হাজার ৬০০ টাকা, ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৯২৪ টাকা, ২০ হাজার টাকা মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, ১ লাখ ১০ হাজার টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী, ১ লাখ ৫৫ হাজার টাকা মূল্যের খাট, আলমারি রয়েছে। স্থাবর সম্পদের মধ্যে ৩০ শতাংশ কৃষি জমি, ৩ শতাংশ এবং ৩ কাঠা অকৃষি জমি, ৩ শতাংশ জমিসহ ৪তলা আবাসিক বাড়ি রয়েছে। তার নামে কোনো ঋণ ও মামলা নেই।

অপরদিকে সদ্য বিদায়ী মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা রংপুর মহানগরীর কলেজ রোডের বাসিন্দা।

তার নিজ নামে কৃষিখাত, দোকানঘর, ব্যবসা, সঞ্চয়পত্রসহ অন্যান্য খাতে আয় নেই। তবে বাড়ি, অ্যাপার্টমেন্ট, দোকান বা অন্যান্য ভাড়া বাবদ ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা বাৎসরিক আয় আছে। তার কাছে নগদ ৭ লাখ ৫০ হাজার টাকা, স্ত্রীর কাছে ৯০ হাজার টাকা রয়েছে। ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে জমাকৃত নিজ নামে ১৬ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৪ টাকা ও স্ত্রীর নামে ২ লাখ ২০ হাজার ৫০০ টাকা রয়েছে।

মোস্তফার নিজ নামে ১ লাখ টাকা মূল্যের বন্ড, ঋণপত্র, কোম্পানির শেয়ার রয়েছে। ৭০ হাজার টাকা মূল্যমানের তার একটি মোটরসাইকেল রয়েছে। নিজ নামে ৫০ হাজার মূল্যের স্বর্ণালঙ্কার, স্ত্রীর রয়েছে ১৫ ভরি স্বর্ণ, ২ লাখ টাকা মূল্যের ইলেক্ট্রনিক সামগ্রী ও ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা মূল্যের নিজ নামে আসবাবপত্র। মোস্তফার কৃষি ও অকৃষি জমি নেই। স্ত্রীর নামে ৪ শতাংশ জমির ওপর একটি দালান রয়েছে। এছাড়া জনতা ব্যাংকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গত ১০ নভেম্বর পরিশোধ করেছেন তিনি।
প্রসঙ্গত, রসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দলীয় সাতজনসহ লড়ছেন মোট নয়জন প্রার্থী। আগামী ২৭ ডিসেম্বর রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৪০৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১২, ২০২২
এসআই

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।