ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নির্বাচন ও ইসি

রসিক নির্বাচন: ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাবে ইসি

ইকরাম-উদ দৌলা, সিনিয়র করেসপন্ডেন্ট | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
রসিক নির্বাচন: ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ইভিএমে ভোট দেওয়া শেখাবে ইসি -ফাইল ছবি

ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ কার্যক্রম নির্বিঘ্ন করতে ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ভোটারদের ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোট দেওয়া শেখাবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে ক্যাম্প করা হবে।

ইসি কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, রসিক নির্বাচনে মোট ৩৩টি সাধারণ ওয়ার্ড রয়েছে। আর সংরক্ষিত নারী ওয়ার্ড রয়েছে ১১টি। এক্ষেত্রে প্রতি তিন ওয়ার্ডে একটি করে মোট ১১টি ক্যাম্প করা হবে।

২০১৭ সালের রসিক নির্বাচনে একদিনের মক ভোটের আয়োজন হয়েছিল ইসি। এক্ষেত্রে এবার দুই দিনব্যাপী এই কার্যক্রম চলবে। ভোটারদের বিচরণ বেশি এমন এলাকায় ভোটকেন্দ্রভিত্তিক ক্যাম্প স্থাপন করা হবে।

ইতোমধ্যে এ সংক্রান্ত নির্দেশনা ইসির নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার ‍উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান রিটার্নিং কর্মকর্তারা মো. আবদুল বাতেনকে পাঠিয়েছেন।

এতে উল্লেখ করা হয়েছে- আগামী ২৩ ও ২৪ ডিসেম্বর, রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে দুই দিনব্যাপী ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম আয়োজন করতে হবে। প্রতিটি সংরক্ষিত ওয়ার্ডে একটি করে ভোটার শিক্ষণ কেন্দ্র স্থাপন করত: ভোটকেন্দ্র ভিত্তিক ভোটার শিক্ষণ কার্যক্রম পরিচালনা করতে হবে। নির্বাচনী এলাকার সব ভোটার যাতে ভোট শিক্ষণ কার্যক্রমে সক্রিয় অংশ নিয়ে ভোটদান পদ্ধতি সম্পর্কে স্বচ্ছ ধারণা পেতে পারে এ বিষয়ে পর্যাপ্ত উদ্যোগ নিতে হবে।

এদিকে কেবল ভোটারদেরই নয়, ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের জন্যও এবার থাকছে নিবিড় প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা। নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কর্তৃক ইভিএম ব্যবহারের বিষয়ে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা অর্থাৎ প্রিজাইডিং অফিসার, সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের জন্য দুই দিনব্যাপী এবং পোলিং অফিসারদের জন্য একদিনের প্রশিক্ষণ দেবে।

অন্যদিকে নির্দেশনায় ইভিএম নিয়ে স্পষ্ট ধারণা দিতে সব প্রার্থী, ভোটার ও ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের মাঝে ব্যাপক প্রচার চালানোর জন্যও বলা হয়েছে।

রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছে ২৭০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে ৯ জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।

মেয়র পদে নয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির (জাপা) মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাড. হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।

নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। ইতোমধ্যে নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, যা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।

২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।

বাংলাদেশ সময়: ১৮৫৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৪, ২০২২
ইইউডি/এমএমজেড

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।