লালমনিরহাট: লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলার সিন্দুনা ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনের প্রচারণাকালে প্রতিপক্ষের হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থীসহ ২১ জন আহত হয়েছেন।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এ দাবি করেন স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ।
তিনি জানান, রোববার (১৮ ডিসেম্বর) দিনগত রাতে হামলার শিকার হন তিনি ও তার সমর্থকরা।
উপজেলা নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা যায়, আগামী ২৯ ডিসেম্বর উপজেলার চেয়ারম্যান পদে উপ-নির্বাচনে তিনজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তারা হলেন- আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নুরল আমিন (প্রতীক: নৌকা), স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফ (প্রতীক: আনারস) ও জাতীয় পার্টি সমর্থিত প্রার্থী তৌহিদ হাসান খান মুকুল (প্রতীক: লাঙ্গল)।
স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফুল ইসলাম আরিফের অভিযোগ, তার নির্বাচনী প্রচারণায় প্রতিদিন বাধা দিচ্ছেন আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী নুরল আমিনের লোকজন। গত শনিবার রাতে ওই ইউনিয়নের উত্তর হলদিবাড়ী এলাকায় নুরল আমিনের ছেলে সিয়াম ও তার ২০/২৫ জন সমর্থক আরিফের সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে আরিফের আট/নয়জন সমর্থক আহত হন। এসময় একটি বসতবাড়িও ভাঙচুর করেন বলে অভিযোগ করেন আরিফ।
ওই ঘটনার জের ধরে রোববার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে আবার নুরল আমিনের লোকজন হামলা চালান। ওই হামলায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফ ও তার ১০/১২ জন কর্মী আহত হন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। গত দু’দিনে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফসহ ২১ জন আহত হয়ে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছেন।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী নুরল আমিন দাবি করেন, গত রোববার রাতে পরিকল্পিতভাবে স্বতন্ত্র প্রার্থী আরিফের লোকজন তার ও তার সমর্থকদের ওপর হামলা চালান। এতে তিনি ও তার পক্ষের পাঁচজন আহত হন।
হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহা আলম জানান, এ ইউনিয়রের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে পাল্টা-পাল্টি হামলার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১৩৫১ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
এসআই