ঢাকা: বিএনপির ছেড়ে দেওয়ার জাতীয় সংসদের শূন্য পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা থাকছে না। এই যন্ত্রের কোনো প্রয়োজনও দেখছে না নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
সোমবার (১৯ ডিসেম্বর) নির্বাচন ভবনের নিজ দফতরে সাংবাদিকদের কাছে এমন মন্তব্য করেন নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।
তিনি বলেন, পাঁচ আসনের সিসি ক্যামেরা স্থাপনের বাজেট নেই। এছাড় সিসি ক্যামেরা কোনো সল্যুশন নয়। অনেক নির্বাচনে সিসি ক্যামেরা ছিল না, অথচ কোনো অঘটন ঘটেনি। পাঁচ আসনের ভোট প্রতিযোগিতাপূর্ণ হবে। এতে ব্যালেন্স থাকবে। ফলে সিসি ক্যামেরার প্রয়োজন পড়বে না।
এক প্রশ্নের জবাবে সাবেক এই ইসি সচিব বলেন, বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) বরাদ্দ দিয়ে সিসি ক্যামেরা স্থাপন করা সম্ভব নয়। এডিপির টাকা প্রকল্পে খরচ করা যায়। সিসি ক্যামেরার জন্য রাজস্ব খাত থেকে অর্থ বরাদ্দ দিতে হয়। তবে নির্বাচনের জন্য অনেক সময় আছে। প্রয়োজন হলে কমিশন বৈঠক করে সিদ্ধান্ত নিতে পারে।
আগামী ১ ফেব্রুয়ারি পাঁচ আসনের উপ-নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আসনগুলো- ঠাকুরগাঁও-৩, বগুড়া-৪, বগুড়া-৬, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২।
ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ ৫ জানুয়ারি, মনোনয়নপত্র বাছাই ৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহার ১৫ জানুয়ারি এবং ভোটগ্রহণ করা হবে ১ ফেব্রুয়ারি। সবগুলো আসনে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ করা হবে। ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
বাংলাদেশ সময়: ১৫০০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ১৯, ২০২২
ইইউডি/এএটি