ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণের আগে-পরে পাঁচ দিনে দায়িত্ব পালন করবেন ৪৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট। এদের মধ্যে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ৩৩ জন এবং বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট থাকবেন ১৬ জন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) নির্বাচন ব্যবস্থাপনা শাখার উপ-সচিব মো. আতিয়ার রহমান জানিয়েছেন, বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের জন্য রংপুর জেলা প্রশাসককে নির্দেশনা পাঠানো হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, আগামী ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হবে। নির্বাচনী আচরণ বিধি প্রতিপালন নিশ্চিত করার জন্য ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত চারদিন প্রতি ওয়ার্ডে একজন করে মোট ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োগের সিদ্ধান্ত দিয়েছে কমিশন। বর্তমানে ১১ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ভোটের মাঠে দায়িত্ব পালন করছেন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা মোবাইল কোর্ট আইন, ২০০৯ এবং স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) আইন-২০০৯ ও স্থানীয় সরকার (সিটি কর্পোরেশন) নির্বাচন বিধিমালা-২০১০ অনুযায়ী নির্বাচনী অপরাধ রোধ, বিজিবির স্ট্রাইকিং ফোর্সের সঙ্গে দায়িত্বপালন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করবেন।
এদিকে ইসির আইন শাখার উপ-সচিব মো. আব্দুছ সালাম জানিয়েছেন, প্রতি দুই ওয়ার্ডের জন্য একজন করে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট নিয়োজিত থাকবেন। তবে ২৯, ৩০ ও ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের জন্য থাকবেন একজন বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট। মোট ১৬ জন বিচারিক ম্যাজিন্ট্রেট দ্য কোড অব ক্রিমিনাল প্রসিডিউরের সেকশন-১০ অনুযায়ী সংক্ষিপ্ত বিচার কাজ সম্পন্ন করবেন। তারা ভোটের এলাকায় থাকবেন ২৫ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
রসিক নির্বাচনে মোট প্রার্থী রয়েছেন ২৭০ জন। এক্ষেত্রে মেয়র পদে নয় জন, সাধারণ কাউন্সিলর পদে ১৯২ জন ও সংরক্ষিত কাউন্সিলর পদে ৬৯ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন ভোটের মাঠে।
মেয়র পদে নয় প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী হলেন- জাতীয় পার্টির মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা, আওয়ামী লীগের অ্যাডভোকেট হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ-ইনু) শফিয়ার রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমিরুজ্জামান পিয়াল, খেলাফত মজলিশের তৌহিদুর রহমান মণ্ডল রাজু, জাকের পার্টির খোরশেদ আলম খোকন, বাংলাদেশ কংগ্রেসের আবু রায়হান এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী মেহেদী হাসান বনি ও লতিফুর রহমান মিলন।
নির্বাচনে দুই লাখ ১২ হাজার ৩০২ জন পুরুষ এবং দুই লাখ ১৪ হাজার ১৬৭ জন নারী ভোটার ২২৯টি কেন্দ্রে ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাবেন। নির্বাচনী প্রচার শুরু হয়ে গেছে, যা চলবে আগামী ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত সাড়ে ১২টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে ২৭ ডিসেম্বর সকাল সাড়ে ৮টা থেকে বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত।
২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর এই সিটিতে সর্বশেষ নির্বাচন হয়েছিল। নির্বাচিত করপোরেশনের প্রথম সভা হয়েছিল ২০১৮ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি। সে মোতাবেক এ সিটির বর্তমান নির্বাচিতদের মেয়াদ শেষ হবে ২০২৩ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৯ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২০. ২০২২
ইইউডি/এসআইএস