ঢাকা: আসন্ন রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে একসঙ্গে দুজনের বেশি সাংবাদিক কোনো ভোটকক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না এবং সর্বোচ্চ ১০ মিনিট অবস্থান করতে পারবেন।
এক নীতিমালা জারি করে এমন এক ডজনের বেশি নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
এতে উল্লেখ করা হয়েছে, সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানে গণমাধ্যমের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। ভোটগ্রহণের দিনসহ বিভিন্ন সময়ে সাংবাদিকরা যাতে সহজে নির্বিঘ্নে নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে পারেন সেজন্য সহযোগিতা করার প্রয়োজন রয়েছে, তবে তা অবশ্যই নির্বাচনের সময়, ভোটগ্রহণ ও ভোট গণনার সময় প্রযোজ্য বিধি-নিষেধ মেনে করতে হবে।
নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত ব্যক্তি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারেন। এজন্য ভোটকেন্দ্রের সংবাদ সংগ্রহের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে সাংবাদিকদের বিশেষ কার্ড সরবরাহ করা হবে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সংশ্লিষ্ট এলাকার এসব কার্ড ইস্যু করবেন। তবে রিটার্নিং কর্মকর্তা প্রয়োজনে সংশ্লিষ্ট সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাকে রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচন উপলক্ষে সাংবাদিকদের কার্ড দেওয়ার ক্ষমতা প্রদান করতে পারবেন।
এছাড়া ঢাকা থেকে যেসব সাংবাদিক নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহ করতে যাবেন তাদের কার্ড নির্বাচন কমিশন থেকে ইস্যু করা হবে। সাংবাদিক ও পর্যবেক্ষকরা নির্বাচন কমিশনের অনুমোদিত এবং অনুমোদনসূচক স্টিকার যুক্ত যানবাহন ব্যবহার করতে পারবেন। মোটরসাইকেল ব্যবহারের জন্য কোনো স্টিকার ইস্যু করা হবে না।
১. নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে প্রদত্ত বৈধ কার্ডধারী সাংবাদিক সরাসরি ভোটকেন্দ্রে প্রবেশ করতে পারবেন। ভোটকেন্দ্রে প্রবেশের পর প্রিজাইডিং অফিসারকে অবহিত করে ভোটগ্রহণ কার্যক্রমের তথ্য সংগ্রহ, ছবি তোলা ও ভিডিও ধারণ করতে পারবেন। তবে কোনোক্রমেই গোপন কক্ষের ছবি সংগ্রহ কিংবা ধারণ করতে পারবেন না।
২. একইসঙ্গে একাধিক মিডিয়ার সাংবাদিক একই ভোটকক্ষে প্রবেশ করতে পারবেন না এবং ১০ মিনিটের বেশি ভোটকক্ষে অবস্থান করতে পারবেন না।
৩. ভোটকক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাচনী এজেন্ট বা ভোটারদের সাক্ষাৎকার নিতে পারবেন না।
৪. ভোটকক্ষের ভেতর থেকে কোনোভাবেই সরাসরি সম্প্রচার করা যাবে না।
৫. ভোটকেন্দ্রের ভেতর থেকে সরাসরি সম্প্রচার করতে হলে ভোটকক্ষ থেকে নিরাপদ দূরত্বে গিয়ে তা করতে হবে, কোনোক্রমেই ভোটগ্রহণ কার্যক্রমে বাধার সৃষ্টি করা যাবে না।
৬. সাংবাদিকরা ভোটগণনা কক্ষে ভোটগণনা দেখতে পারবেন, তবে সরাসরি সম্প্রচার করতে পারবেন না।
৭. ভোটকক্ষ থেকে ফেসবুকসহ কোনো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে সরাসরি প্রচার করা যাবে না।
৮. কেন্দ্রের ভোটগ্রহণ কার্যক্রম ব্যাহত হয় এমন সব কাজ থেকে বিরত থাকবেন।
৯. ভোটকেন্দ্রে সাংবাদিকরা প্রিজাইডিং অফিসারের আইনানুগ নির্দেশ মেনে চলবেন।
১০. নির্বাচন সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাজে কোনোরূপ হস্তক্ষেপ করতে পারবেন না।
১১. কোনো প্রকার নির্বাচনী উপকরণ স্পর্শ বা অপসারণ করতে পারবেন না।
১২. নির্বাচনী সংবাদ সংগ্রহের সময় প্রার্থী বা কোনো রাজনৈতিক দলের পক্ষে বা বিপক্ষে যেকোনো ধরনের প্রচারণা বা বিদ্বেষমূলক প্রচারণা থেকে বিরত থাকবেন।
১৩. নির্বাচন অনুষ্ঠানে সহায়তার জন্য নির্বাচনী আইন ও বিধি-বিধান মেনে চলবেন।
নীতিমালার নির্দেশনা পালন না করলে বা তার ব্যত্যয় ঘটলে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন, বিধি ও কোড অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
আগামী ২৭ ডিসেম্বর রসিক নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করবে নির্বাচন কমিশন।
বাংলাদেশ সময়: ১২৫৬ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৪, ২০২২
ইইউডি/আরবি