রংপুর: রংপুর সিটি করপোরেশন (রসিক) নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলছে। সকালের দিকে কেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি কম থাকলেও বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভোটার উপস্থিতি বাড়তে শুরু করেছে।
মঙ্গলবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৮টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। বিকেল সাড়ে ৪টা পর্যন্ত ২২৯টি কেন্দ্রে বিরতিহীনভাবে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ চলবে।
রংপুর সিটি নির্বাচনের রিটার্নিং কর্মকর্তা আবদুল বাতেন বলেন, কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে। কোথাও কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।
নগরীর ৩২ নং ওয়ার্ডের ধর্মদাস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ বিভিন্ন ভোট কেন্দ্র ঘুরে দেখা গেছে, সকালের তুলনায় ভোটার উপস্থিতি বাড়ছে। দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে ভোটাররা ভোটদানের জন্য অপেক্ষা করছেন।
ওই কেন্দ্রে ভোট দিতে এসেছেন আব্দুর রহমান। তিনি বলেন, পরিবারের সকলে মিলে ভোট দিতে এসেছি। ভোটের পরিবেশ ভালই লাগছে।
আতাউর রহমান নামে আরেক ভোটার বলেন, শীতের কারণে সকালে অনেকে আসেনি। এখন বেলা বাড়ার কারণে ভোটাররা আসতে শুরু করেছেন।
নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানা যায়, রংপুর সিটি করপোরেশন নির্বাচনে প্রতিটি সাধারণ ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ দুজন কনস্টেবল, দুজন অস্ত্রধারী আনসার, ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৫ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ ৮৬টি ভোটকেন্দ্রে একজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ তিনজন কনস্টেবল, দুইজন অস্ত্রধারী আনসার ও ১০ জন আনসার-ভিডিপির সদস্যসহ মোট ১৬ জনকে মোতায়েন করা হয়েছে। নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডে ১১ প্লাটুন বিজিবি, ১৭টি র্যাব টিম, পুলিশ, এপিবিএন ও ব্যাটালিয়ন আনসারের সমন্বয়ে প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে মোবাইল ফোর্স, ১১টি স্ট্রাইকিং ফোর্স ও ছয়টি রিজার্ভ স্ট্রাইকিং ফোর্স কাজ করছে।
এছাড়া নির্বাচনে শান্তিশৃঙ্খলা রক্ষায় নগরীর ৩৩টি ওয়ার্ডের জন্য ৩৩ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও ১৬ জন জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করছেন। এর পাশাপাশি ২২৯টি কেন্দ্রের সবগুলোতে নিরবিচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে সিসিটিভি ক্যামেরার মাধ্যমে মনিটরিং করা হচ্ছে।
রংপুর সিটি করপোরেশনে ৩৩টি ওয়ার্ডের ২২৯টি কেন্দ্রের ১৩৪৯টি ভোটকক্ষে ৪ লাখ ২৬ হাজার ৪৭০ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। তাদের মধ্যে একজন তৃতীয় লিঙ্গের ভোটারও রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০১২ সালের ২৮ জুন ২০৫ দশমিক সাত বর্গকিলোমিটার আয়তনের রংপুর সিটি করপোরেশন গঠনের পর একই বছরের ২০ ডিসেম্বর প্রথমবারের মতো দলীয় প্রতীক ছাড়া নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়।
সেবার এক লাখ ছয় হাজার ২৫৫ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা পেয়েছিলেন ৭৭ হাজার ৮০৫ ভোট এবং বিএনপি নেতা কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ২১ হাজার ২৩৫ ভোট।
দ্বিতীয় মেয়াদে ২০১৭ সালের ২১ ডিসেম্বর দলীয় প্রতীকে অংশ নিয়ে জাতীয় পার্টির প্রার্থী মোস্তাফিজার রহমান মোস্তফা ১ লাখ ৬০ হাজার ৪৮৯ ভোট পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগের সরফুদ্দিন আহমেদ ঝন্টু পেয়েছিলেন ৬২ হাজার ৪০০ ভোট এবং বিএনপির প্রার্থী কাওসার জামান বাবলা পেয়েছিলেন ৩৫ হাজার ১৩৬ ভোট।
বাংলাদেশ সময়: ১৩১০ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৭, ২০২২
এসআইএ
.jpg)
.jpg)
